নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার দুই শীর্ষ চোরাচালানী আবারো ফাঁদে পড়েছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রাক ভর্তি এক কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আমদানির ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে দুই চোরাকারবারীকে।
আটক দুই চোরাকারবারী হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা গ্রামের মৃত. আবু সাঈদের ছেলে মামুনুর রশিদ (২৮) ও শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর দেবলা গ্রামের নুর সালাম গাজীর ছেলে আকবর হোসেন (২৩)। এ ঘটনায় আটক দুই চোরাকারবারীসহ মামলা হয়েছে আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান আশিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী জেলার শীর্ষ চোরাকারবারী আলফেরদাউস আলফা, এলসি প্রতিষ্ঠান রাজা এন্টারপ্রাইজের মালিক ও ইশা-তিশা ট্রান্সপোর্ট এজন্সী মালিকের বিরুদ্ধে।
বিজিবি জানায়, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রোববার বিকেলে ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে ট্রাকভর্তি বিপুল পরিমান ভারতীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন গাজীপুর বিওপির কমান্ডার হাবিলদার মহসিন আলীর নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল বাঁকাল চেকপোষ্ট এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পাঁকা রাস্তার উপর থেকে একটি আইচার ট্রাকসহ উক্ত দুই চোরাবারীকে আটক করা হয়। এরপর ট্রাকটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৬ হাজার ৪৫০ কেজি ভারতীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ট্রাকসহ ভারতীয় মাছের মূল্য এক কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় গাজীপুর বিওপির কমান্ডার হাবিলদার মহসিন আলী বাদী হয়ে চোরাকারবারী জেলা পরিষদ সদস্য আলফেরদাউস আলফা, এলসি প্রতিষ্ঠান রাজা এন্টারপ্রাইজের মালিক ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী ও ইশা-তিশা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী মালিকের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।
দেবহাটার পারুলিয়ায় ৫তলা আলীসান বাড়ী, সাতক্ষীরা শহরে তিনতলা বাড়ির মালিক। ১/১১ এর সময় একটি মামলায় দণ্ডপ্রান্ত আসামী আলফেরদৌস আলফা। জেলায় একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন শীর্ষ করদাতা হিসেবে। ভোমরা বন্দরে আমদানি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত এই চোরাচালানী আলফা। টাকার জোরে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হয়ে যায়। গত এক দশক ধরে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তাকে বসে এনে চলেছে তার রমরমা ব্যবসা তবে বর্তমানে জেলার শীর্ষ কর্মকর্তার নজরদারিতে ছিলেন চোরাকারবারী আলফা।
অপরদিকে, চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী জামায়াত-শিবিরের বড় ধরনের অর্থ যোগানদাতা।
শীর্ষ চোরাকারবারী আলফা ও ইসরাইল গাজীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।