আব্দুর রহমান: দৃশ্যমান উন্নয়নের মাধ্যমে সাতক্ষীরার সর্বস্তরের মানুষের কাছে উন্নয়নের রুপকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা সদর আসনের প্রতিটি ইউনিয়নে উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে।
যেসব ব্রিজ, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা একসময় ছিলো কল্পানাতীত- তা এখন হাতের নাগালে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পিসিএল ল্যাব ওক্যান্সার পরীক্ষা ল্যাব, অক্সিজেন প্লান্ট ও রিজার্ভার, ইমার্জেন্সি আইসিইউ, সিসিইউ স্থাপনসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৪৭৬ কোটি টাকা প্রদানসহ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তার প্রচেষ্টায় দৃশ্যমান উন্নয়নের মধ্যে ৭৯টি প্রাইমারী স্কুল ভবন করা হয়েছে।
এছাড়া ৯৭টি ওয়াশ ব্লক এবং ২৫টি বাউন্ডারি ওয়াল সম্পন্ন করা হয়েছে। ৫৪টি মাধ্যমিক স্কুলের ভবন এবং আরো ৬টি ভবনের কাজ পক্রিয়াধীন রয়েছে। ৮টি কলেজ ও ১৭টি মাদ্রাসার ভবন নির্মাণসহ ৫০টি প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র প্রদান। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ৬ তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন বরাদ্দ। সাতক্ষীরা সদর আসনে এলজিইডির মাধ্যমে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ এবং ১৯৫ মিটার ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও ১৩২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও ৫টি হাটবাজার উন্নয়ন করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নে মোট ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভায় কেএফডব্লিউ’র মাধ্যমে ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ। ৩ হাজার ৫৬টি গভীর নলকূপ ও ১৮৪টি অগভীর নলকূপ স্থাপন, ৫ হাজার ৫০৩টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং স্থাপন, ৪৩১টি স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা স্থাপন। কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৫৮ হাজার ২৩২ টাকা করে বছরে তিনবার এবং ২ কোটি টাকার উর্দ্ধে কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১২৩ কোটি টাকার বিভিন্ন ভাতা প্রদান ও ক্যান্সার চিকিৎসায় ১০ কোটি টাকা প্রদান। মাতৃকালীন ভাতা ও ভিজিডি’র চাল বিতরণ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকার উদ্ধে। ১ হাজার পরিবারে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং মৎস্য অবমুক্তকরণ/ খাল খননে ৫০ কোটি টাকার উর্দ্ধে ব্যয় করা হয়েছে। ২ লক্ষ ১০ হাজার বৃক্ষ রোপণসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৭৮টি পরিবারকে জমি ও ঘর এবং ২ হাজার ৫০০ বান্ডিলের উর্দ্ধে ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা ও সোলার প্যানেল স্থাপনে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় প্রদান করা হয়েছে। ৬টি সাইক্লোন শেল্টার ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, ৩১টি শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন এবং আরো ২৫টি প্রস্তাবিত রয়েছে।
ইতোমধ্যে ইকোনমিক জোন, ট্রেন লাইন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রীড়া কমপ্লেক্স অনুমোদন হয়েছে। কারোনাকালীন ও অন্যান্য সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান এবং দুঃস্থ, অসহায় ও অস্বচ্ছল নেতাকর্মী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সমাজহিতৈষী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইউনিয়নগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর “আমার গ্রাম আমার শহর” বাস্তবায়নকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির আন্তরিকতা ও সার্বিক সহযোগিতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বক্ষেত্রে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। গ্রামীণ কাঁচা সড়ক পাকাকরণ, বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালীকরণ, গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ, প্রথমিক বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, বিভিন্ন বাজারের অবকাঠামো নির্মান, বিভিন্ন স্কুলের উন্নয়ন, পাবলিক টয়লেট স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এক সময়ের অবহেলিত জনপদের চেহারা পাল্টে এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ। ১৯৭১ সালে জাতির জনকের ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরাকে এবং ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে মুক্ত করি। আজ জীবনের শেষপ্রান্তে এসে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে তার মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে সাতক্ষীরা নির্বাচিত এলাকায় একজন জনগণের প্রতিনিধি হয়েছি। বিগত প্রায় ১০ বছরে আমি আমার সাধ্যমত সাতক্ষীরাকে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সাথে সাথে আমার উন্নয়ন বলতে যা বুঝি রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, সর্বত্র বিদ্যুৎ দেয়ার চেষ্টা করেছি। জনগণের চাকর হিসেবে সব সময় জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি।