কিশোর কুমার:
হৈ-হট্টোগোল ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়ে সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভা ভুন্ডল করে দিয়ে ছাত্রদলের পরিচয়দানকারী নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রিয় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় ছাত্র জনতার মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে মতবিনিময় সভা শুরু হলেও বিশৃংঙ্খলায় তা পন্ড হয়ে যায়। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় জনি ও সানির নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মঞ্চে উঠে মাইক হাতে বলতে শুরু করেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরায় শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা (ছাত্রদল) সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। অথচ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে মহবিনিময় সভা হতে পারে না। সাতক্ষীরা জেলায় কোন বৈষম্য চলবে না।
যেসব ভাইয়েরা ঢাকা থেকে এসেছেন, আপনারা আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করছেন। আজকের প্রোগ্রাম আমরা হতে দেবো না, অবিলম্বে আপনারা এই স্থান ছেড়ে চলে যান। ম‚হুর্তেই অডিটোরিয়ামটি উত্তল হয়ে ওঠলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর শিল্পকলার হল রুমে পরিপ‚র্ন থাকা শিক্ষার্থীরা এসময় যে যার মত আসন ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে। ফলে ম‚হুর্তে পন্ড হয় ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমম্বয়ক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিত ভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবানে ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভায় বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করে। এর ফলে সভা বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শেখ শরিফুজ্জামান সজীব বলেন, ‘জনি ও সানি নামে ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী নেই। ছাত্রদলের কর্মী বলে যাদের পরিচয় দেওয়া হচ্ছে, এটা ষড়যন্ত্রম‚লক।’ ছাত্রদলের কোনো নেতা কর্মী আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো: রফিকুল ইসলাম জানান, সভার শুরুতেই ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে বিশৃংখলা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে রুপ নেয়। পুলিশ সম্ভব্য সংঘাত এড়াতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনে।