নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৮৭ নম্বর ঘরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহেরা সুলতানার বিরুদ্ধে অনুপস্থিতি, দায়িত্বে গাফিলতি এবং শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবর্তে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তাহেরা সুলতানা নানা কারণে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার তদন্ত হয়েছে এবং শাস্তি হিসেবে তাঁর একটি বার্ষিক ইনক্রিমেন্টও কর্তন করা হয়। অভিযোগকারীদের দাবি, সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে আসছেন না। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, যেখানে তাঁর স্বামী ও সন্তান বসবাস করেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও তিনি অধিকাংশ সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে অনাগ্রহী ছিলেন এবং মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতেন। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, তাঁর অনুপস্থিতি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন এক অফিস আদেশে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এ জন্য অভিযোগপত্রের চার পৃষ্ঠার কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, অভিযোগকারী অভিভাবকরা শিক্ষক তাহেরা সুলতানাকে বিদ্যালয় থেকে বদলি করার দাবি জানিয়েছেন।
অভিভাবক প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমাদের শিশুরা নিয়মিত শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। একজন শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলা পুরো গ্রামের শিশুদের ভবিষ্যৎকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই আমরা চাই তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হোক।”