
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার ১নং কুলিয়া ইউনিয়নের বিল শিমুলবাড়িয়ার রাস্তা সংস্কারে এলজিইডির কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। শিমুলবাড়িয়া এলাকায় ব্যবসায়ী ইউসুফের বাড়ির সামনে থেকে বিল শিমুলবাড়িয়া মোড় পর্যন্ত ১১৫০ মিটার রাস্তা সংস্কারের নামে গর্ত করে ঠিকাদার উধাও একটু বৃষ্টি হলে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। মানুষের যাতায়াতের রাস্তা খুড়েঁ দুই বছরের ও কাজটি শুরু করেনি এই ঠিকাদার।
বৃষ্টি হলে পুরো রাস্তা জুড়ে মিনি পুকুরে পরিণত হয়েছে। ফলে কুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বিল শিমুলবাড়িয়া এলাকার ৩/৪ হাজার মানুষকে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে কাজটি ফেলে রেখে মানুষের ভোগান্তি চরমে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজী মিজানুর রশিদ নামে রাস্তার কাজটি করছে এলজিইডি সূত্রে জানা যায়। প্রতিনিয়ত এলাকাবাসি ভোগান্তি শিকার হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে কাজ ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে প্রকল্পের তদারকি কর্তৃপক্ষেরও রয়েছে চরম উদাসীনতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার মানুষ গর্ত করে রাখা মাটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সাইকেল,মোটরসাইকেল,ভ্যান, ইজিবাইক, নিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। জানা যায়, ১৮ মাস ধরে রাস্তাটি গর্ত করে রাখা রাস্তাটির কোন সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে রাস্তাটির এ বেহাল দশা। এলজিইডি প্রকৌশলী থেকে ১১৫০ মিটার রাস্তা ৮২ লক্ষ টাকায় টেন্ডার হয়। রাস্তার কাজের নির্ধারিত সময় পার হলেও রাস্তায় কোন কাজই হয়নি।
শিমুলবাড়িয়ার বাসিন্দা মোঃ নাজমুল হাসান জানান, যখন রাস্তার কাজ শুরু হলো তখন আমরা এলাকাবাসী অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু শুরু হওয়ার পর ১৮ মাস কাজ বন্ধ হওয়ায় আমাদের চলাফেরা করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। কোন রুগী অসুস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়। আরো বলেন কয়েক সপ্তাহ আগে খুবই অসুস্থ একটি রুগীকে জীবন দিতে হয়েছে এই রাস্তার কারনে। রাস্তায় কাঁদা পানি ছিল যে যানবহন চলা অনুপযোগী সেই কারণে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ায় অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
কথা হয় কয়েক জন ভ্যান ও ইজিবাইক চালক এর সাথে তারা জানান, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে আমাদের। আয় রোজগার করতে হবে, তাই প্রতিদিন ভ্যান,ইজিবাইক নিয়ে বের হতে হয়। রাস্তার কারণে ভ্যান ও ইজিবাইক অনেক সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় গাড়ি চালায় সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সারা দিন গাড়ি চালাই যে টাকা পাই সেই টাকা গাড়ির কাজে খরচ করে ফেলতে হয় যত দ্রুত সম্ভব সড়ক ঠিক করে দেওয়ার জোর দাবী জানায়।
মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, সড়কের কাজ শুরু হয়ে থেমে গেলো। এ কেমন অবিচার? কাজ যদি চলমান থাকতো তাহলে আমরা এ দুর্ভোগ মেনে নিতাম। কিন্তু কাজ চলবেনা, আবার দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এটা মেনে নেয়া যায় না। অনতিবিলম্বে আমাদের এই সড়ক সংস্কার করা হোক এ দাবী রাখছি।
এই বিষয় দেবহাটা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী দ্যুতি মন্ডল বলেন, ঠিকাদারের সাথে আমার কথা হয়েছে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করবে।
এই বিষয়ে জানার জন্য ঠিকাদার ফয়সালের কাছে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এ,এস, এম তারিকুল হাসান খান জানান, আমি নতুন জয়েন্ট করছি তার পরেও ওই এলাকা রাস্তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। পনি উন্নয়ন বোর্ডের মাটি কাটার কারনে রাস্তাটির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি খুব তাড়াতাড়ি কাজটি শুরু হবে।