স্পোর্টস ডেস্ক:
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ডিং পাফরম্যান্সের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। ব্যাটে-বলে অনবদ্য সাকিবে সিরিজের শেষটা হাসিমুখে করে লাল সবুজের দল। তাইতো সাকিব প্রসঙ্গ আসতেই প্রতিপক্ষের অধিনায়ক জস বাটলার মনে করিয়ে দিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপ ও সাকিবের কথা।
ইংলিশদের মাটিতে হওয়া সেই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দলও তারাই। সাকিব সেবার নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন চূড়ায়। ব্যাটে ছুটেছে রানের ফোয়ারা, বল হাতেও দেখিয়েছেন ম্যাজিক। ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে দুই সেঞ্চুরিতে করেন ৬০৬। আর বল হাতে নেন ১১ উইকেট। দল না জিতলেও ইংলিশদের বিপক্ষে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি (১২১)।
গতকাল (৬ মার্চ ২০২৩) মুশফিক-শান্তর ফিফটির পর সাকিবের সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২৪৭ রানের লক্ষ্য দেয়। রান তাড়া করতে নেমে ১৯৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ৫০ রানের জয়ে হোয়াইট ওয়াশ এড়ায় বাংলাদেশ। বল হাতেও ছিলেন সাকিব সেরা, মাত্র ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট।
চট্টগ্রামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অবধারিতভাবে আসে সাকিব প্রসঙ্গে। সাকিবের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নে বাটলার ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘সে একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার। তার পরিসংখ্যান কথা বলে (সে কত ভালো ক্রিকেটার) তাই না? আপনারা জানেন, তার বিপক্ষে খেলা কত বড় একটা চ্যালেঞ্জ। পেছনে ফিরে ২০১৯ বিশ্বকাপে তাকালে বোঝা যায়, তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। একজন মেধাবি খেলোয়াড় সে।’
রান তাড়া করতে নেমে ইংলিশরা দারুণ শুরু করে। ৯ ওভার শেষ না হতেই দুই ওপেনার তুলে নেন ৫৪ রান। রয় ধীর গতির ব্যাটিং করলেও সল্ট ছিলেন আক্রমণাত্বক (২৫ বলে ৩৫)। তাকে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন সাকিব। মাঝের ওভারে ইবাদত ফেরান মালনকে। সাকিব আবার এসে তুলে নেন রয়ের (১৯) উইকেট। ১ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঠিকভাবে। বাটলারও বলছেন সেই কথা।
‘আমি সত্যিই মনে করি এটি তাড়া করার মতো স্কোর ছিলো। আমি মনে করি আমরা একটি ভালো শুরু করেছিলাম, তারপরে এক রানে তিনটি উইকেট হারিয়েছি, আমি মনে করি, এটি ম্যাচের একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিলো’-বলছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক।