মঙ্গলবার : ২৪ নভেম্বর ২০২০: ০৯ অগ্রহায়ন ১৪২৬
সাতক্ষীরায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং দ্রæত সাতক্ষীরা মেডিকেলে পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা শুরু দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় শহরের পাকাপুলের উপর অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ঢাকা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আফম রুহুল হক এমপি, এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যনার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুজ্জামান রাশি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাহিদা জাহান মৌ।
ডা: আফম রুহুল হক এমপি বলেন, আমি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি আজকে হয়তো ফাইলিং হবে। আশা করছি দ্রæত সময়ের মধ্যে সাতক্ষীরায় করোনা পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া সাতক্ষীরায় অর্থনৈতিক জোন হলে আমার প্রাণের সাতক্ষীরার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। সাতক্ষীরার একটি সমস্যা হলো অনেক সময় এসব বিষয়গুলো আমাকে জানানো হয় না। আমাদের সমস্যা গুলো আমরা উপর্যুক্ত স্থানে পৌছাতে পারি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরার উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো আমরা সে পর্যন্ত পৌছে দিতে না পারায় আমাদের নানাবিধ সমস্য সৃষ্টি হয়।
এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন, সাতক্ষীরাবাসীর দাবির মুখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা করোনা টেস্টের জন্য পিসিআর ল্যাব দিয়েছেন। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয়টি প্রায় আড়াই মাস ল্যাবের মেশিনপত্র সাতক্ষীরা মেডিকেলের বারান্দায় পড়ে থাকলেও এখনো সেটি স্থাপন করা হয়নি। পরীক্ষা শুরু করা হয়নি। আমাদের ল্যাব আছে দক্ষ কর্মী নেই। মাত্র কয়েক দিনে খুলনায় পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এটি নিয়েও সাতক্ষীরায় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছিল।
“আমরা বুঝতে পারি না, সাতক্ষীরার জনগণ অদক্ষ, নাকি প্রশাসনের লোকজন অদক্ষ, নাকি কর্তৃপক্ষ তারা অদক্ষ?”
আমরা বিশ্বাস করবো দ্রæত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শুরু হবে। সাতক্ষীরায় অর্থনৈতিক অঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিগত জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মহিউদ্দীন সাহেব ৩শ বিঘা সম্পত্তি উদ্ধার করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই সম্পত্তি কতিপয় ভ‚মিদস্যুদের দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। কিভাবে দিয়েছেন তা আমরা জানি না। অথচ সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্ব আয় করা সম্ভব ছিল। তিনি অবিলম্বে সাতক্ষীরায় অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দ্রæত সময়ের মধ্যে করোনা পরীক্ষা শুরুর দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন,
“আমরা অত্যান্ত দুর্ভাগা। আমরা একসাথে কাজ করতে পারি না। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামতে হয়। কোভিডে সারা বিশ্বের তুলায় আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোড় গোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। তিনি পরীক্ষাগার জেলায় জেলায় স্থাপন করে আমাদের সুস্থ্য রাখতে চেষ্টা করেছেন। মাননীয় নেত্রী আমাদের জেলায় পিসিআর ল্যাব দিয়েছেন। অন্যন্য জেলায় পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হলেও অদৃশ্য কারণে সাতক্ষীরায় শুরু হয়নি।” মাননীয় সাংসদের মাধ্যমে দ্রæত এটির কার্যক্রম শুরু দাবি জানান তিনি।
আমরা অতিব আশ্চর্যের সাথে উপলব্ধি করলাম গতকাল সাতক্ষীরার দুজন উর্দতন কর্মকর্তা জেলায় পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরুর দাবিতে পাকাপুলের উপর মানববন্ধন করেন। স্থানীয় অনেকেই প্রশ্ন করেন কেন এসব কর্মকর্তাগণ দপ্তরিক দায়িত্ব ছেড়ে রাজপথের আন্দোলনে নামলেন? বিষয়টি কি রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক চেইন অব কমান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে?