সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা-৪ আসন (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিকের) সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার সরকারের উন্নয়ন, সফলতা প্রচারে ও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। কাক ডাকা সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। রাস্তার চলন্ত বাস, ভ্যান, ইজিবাইক এমনি ধনী ও দিন মজুরের বাড়িও বাদ যাচ্ছে না তার চষে বেড়ানো। তবে তিনি নিজের জন্য এখনও ভোট চাননি। সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের উন্নয়ন, সফলতা প্রচার ও জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চাইছেন। চাইছেন আবারও নৌকায় ভোট।
আওয়ামী লীগ সরকারের একটানা ১৫ বছর হলেও এসএম জগলুল হায়দারের এমপির বয়স ১০ বছর। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা-৪ আসনে জাতীয়পার্টির এইচ এম গোলাম রেজা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়। জাতীয় পার্টির ততকালীন চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথে গোলাম রেজার মনমালিন্য হওয়ায় তাকে দল থেকে চিরস্থায়ী বরখস্ত করে এরশাদ। তার পদ থেকে টানা ২ মেয়াদ জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা এসএম জগলুল হায়দারকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিলে এমপি জগলুল হায়দার এমপি হয়ে অত্যন্ত দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার সাথে কাজ করে আসছে।
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এসএম জগলুল হায়দার আবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়াও সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন- শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, গাবুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়াম্যান জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আযম লেলিন, ঢাকা ভার্সিটির ছাত্রলীগ নেন্ত্রী মাসুদা খানম মেধা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমান।
কেন্দ্রীয় একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সোয়া দুয়েক আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করেছে। তার মধ্যে সাতক্ষীরা-৪ আসনে এসএম জগলুল হায়দার এর নাম রয়েছে। কেন্দ্র থেকে বিষয়টি জগলুল হায়দারকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সংসদীয় বোর্ডের সদস্য জানিয়েছে। জগলুল হায়দারের ১০ বছরের মেয়াদে সাতক্ষীরা-৪ আসনে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। এলাকার অলিতে গলিতে পাকা রাস্তা স্কুল-কলেজ বহুতল ভবন, সাইক্লোন সেল্টার, ব্রিজ-কালভার্ট, যমুনা নদী পুনঃখনন, বিভিন্ন খাল খনন, গাবুরা ইউনিয়ন ১১শত কোটি টাকা ব্যায়ে দৃশ্যমান পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মাণ, শ্যামনগর মহাসিন কলেজ ও হরিচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ, শ্যামনগর পৌরসভা বাস্তবায়ন করণ।
শ্যামনগর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, মসজিদ, মন্দিরের উন্নয়নসহ প্রায় ২ হাজার কোর্টি টাকার অধিক কাজ হয়েছে। দৃশ্যমান কাজ হয়েছে সব দপ্তরে। এসএম, জগলুল হায়দারের আচরণগত দিক থেকে ধনী গরিব সবাই খুশি।
কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর বাজারের পাশে ৮২ বছর বয়স্ক বৃদ্ধা জবেদ আলী কাগুচী এই প্রতিবেদনকে জানান, বাবা বয়সের ভারে হাটতে পারি না। কখন যেন হয়ে যাব কবরের বাসিন্দা। দোয়া করে যাই শেখ হাসিনার জন্য, দোয়া করি এসএম জগলুল হায়দার এর জন্য। আমি নিজ বয়স্ক ভাতা পাই। তাছাড়া, শেখ হাসিনার সরকার শতভাগ বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্ত ভাতা দিচ্ছে কখনও ভাবেনি এই অবহেলিত গ্রামে পাকা রাস্তা হবে ঘরে ঘরে মানুষ বিদ্যুত পাবে সেটাকে সম্ভব করেছে শেখ হাসিনা এবং সহযোগীতা করেছে জগলুল হায়দার।
গাবুরা ইউনিয়নের ৭৫ বছর বয়স্ক জলিল ঢালী, ৬৬ বছর বয়স্ক মুনছুর গাজী, ৭২ বছল বয়স্ক আমিনা, ৯৩ বছর বয়স্ক বাহার আলী, ৫১ বছর বয়স্ক কাদের, ধন্যবাদ জানান জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জগলুল হায়দারকে তারা বলেন, আমরা কখনও কল্পনা করতে পারেনি এই অবহেলিত গাবুরায় একটি টেকসই মজবুত বেড়িবাঁধ হবে, পাব ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বনশ্রী শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম বলেন, আমার স্কুলে একটি ৫ তলা বহুতল ভবন ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দেয়া হয়েছে তার জন্য এসএম জগলুল হায়দার এমপিকে জানাই অনেক ধন্যবাদ। তিনি আরো বলেন, যে কাজ করে তার নাম কখনও ইতিহাস থেকে বাদ দেয়া যাবে না। তাহলে আল্লাহ কাওকে ক্ষমা করবে না।
যতীন্দ্রনগর সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, আমার চাচা এসএম জগলুল হায়দার আমাদের স্কুলে একটি ৫ তলা বহুতল ভবন দিয়েছে আমি ও আমার পরিবার এবং এলাকার সবাই জননেন্ত্রী শেখ হাসিানা ও এমপি জগলুল হায়দারের জন্য দোয়া করি।
ভেটখালী গ্রামের ৭৭ বছর বয়স্ক মামুন গাজী জানান, ভেটখালী টু নওয়াবেকী পাকা রাস্তা হবে আমরা জীবনে কল্পনা করতে পারেনি। সে জন্য আবারও নৌকায় ভোট দেব এবং নৌকার প্রার্থী হিসেবে জগলুল হায়দারকে আবারও দেখতে চাইব।
নুরনগর গ্রামের মজিবর ঢালী বলেন, তাদের ইউনিয়নে অলিতে গলিতে এত পাকা রাস্তা হয়েছে যে কোন রাস্তা কাঁচা নেই। সে জন্য জগলুল হায়দারকে জানাই আন্তিরিক অভিনন্দন। তিনি আরও বলেন, এক সময় এই মেঠো রাস্তাগুলো অগ্রহায়ন মাস পর্যন্ত বর্ষাকালের কাদা ঠেলতে হতো। ভুরুলিয়া মানিক চাঁদ বলেন, ভুরুলিয়া কোন রাস্তা কাচা নেই সব উন্নয়ন আ.লীগের আমলে হয়েছে। সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার আবারও দরকার। আবারও দরকার জগলুল হায়দার এমপিকে।
রমজাননগর ইউনিয়নের ফারুক হোসেন জানান, এই ১০ বছরে রমজাননগর ইউনিয়নে যে কাজ হয়েছে দেশ স্বাধীনের পরে এত কাজ আর কখনও হয়নি। সে কারনে জগলুল হায়দার এমপিকে আবারও আমাদের প্রয়োজন তাই জননেন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানাই আবারও জগলুল হায়দারকে মনোনয়ন দিন। তিনি আরও বলেন, জগলুল হায়দারের কাছে যেয়ে ধনী-গরিব কেহ খালি হাতে ফেরেনি। যার যা দাবি ধর্য্য সহকারে শুনে তার উপকার টুকু করেছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম জানান, জগলুল হায়দার এমপি হওয়ার পরে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে কোন কাচা রাস্তা নেই। বর্তমানে ৯৬ কোটি টাকার কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডে চলছে। ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি স্বজল মুখার্জি জানান, জগলু ভাইয়ের বিকল্প এই আসনে আর কোন কিছু হতে পারে না। তাই আবারও তিনি মনোয়ন পেয়ে এমপি হলে দৃশ্যমান কাজ হবে।