নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার চাম্পাফুলে দলীয় প্রভাবখাটিয়ে প্রভাবশালী কৃর্তক এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তির হারির টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক দখল এবং জমি ফেরত চাইতে গেলে খুন জখমসহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকির দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সয়বাদ সম্মেরনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার ঘুশুড়ি গ্রামের মৃত. মাদার চন্দ্র দে’র ছেলে সুবোধ চন্দ্র দে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ক্ষেতে খামারে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। বিগত প্রায় ২০ বছর পূর্বে কালিগঞ্জের বাদাকুল মৌজায় জে এল নং- ২০৬ , দুটি দাগে ২৫ ও ৪৭ মোট ২ একর ৬ শতক সম্পত্তি হারি দেওয়ার শর্তে রাজাপুর গ্রামের মৃত. ছাকাত আলী গাজীর ছেলে ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি নুর ইসলাম, ঘুশুড়ি গ্রামের ছাকাত বিশ্বাসের ছেলে ইউনিয়ন আ’লীগের সেক্রেটারী ছিদ্দিক বিশ্বাস ও একই এলাকার মৃত. দুলালের ছেলে ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি গোবিন্দ সরকার ইজারা গ্রহণ করে। কিন্তু ইজারার শর্ত মোতাবেক নিয়মিত হারির টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে আমার সম্পত্তির হারির টাকা দিচ্ছে না। হারির টাকা চাইতে গেলে মারপিট ও খুন জখম এবং মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে। এমনকি ছিদ্দিক বিশ্বাস বাজারে প্রকাশ্যে কয়েক বার আমাকে জুতার বাড়ি মারতে উদ্যাতও হয়েছে। আমি আমার নিজের সম্পত্তির কোন হারির টাকা পাচ্ছি না আবার সম্পত্তিও ফেরত দিচ্ছে না ওই দখলদার বাহিনী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি অসহায় নিরিহ প্রকৃতির হওয়ায় তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। এঘটনায় আমি কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করি। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তারা জমি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে জমি ফেরত না দিয়ে উল্টো মারপিট ও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। নুর ইসলাম জামায়াতের ক্যাডার হয়েও স্থানীয় সুবিধাভোগী আ’লীগ নেতা সিদ্দিক বিশ্বাস ও গোবিন্দসহ কতিপয় নেতার কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হয়রানি ও জোরপূর্বক তাদের সম্পত্তি ভোগদখল করে যাচ্ছে। এবিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের ভাড়াটিয়া লোকজন দ্বারা রাস্তাঘাটে মারপিট, মান অপমান এবং বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে। তাদের কারনে আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি উল্লেখিত ব্যক্তিদের কবল থেকে সম্পত্তি উদ্ধার এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।