
নিজস্ব প্রতিবেদক : সদরের কুলিয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গুচ্ছ গ্রামে ইদুর মারা বিদ্যুৎ এর ফাঁদে পড়ে এক বৃদ্ধার দুই পা পুড়ে সাতক্ষীরা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সদরের গাংনিয়া ব্রিজ সংলগ্ন শ্রীরামপুর গুচ্ছ গ্রামে। শ্রীরামপুর মৌজার পুটিমারি নামক বিলে মাহমুদপুর গ্রামের ফজলা হক মোড়লের ছেলে এবাদাত হোসেন বাবুর মৎস ও ধানের ব্লকে। তিনি আনুঃ ১৫বিঘা জমিতে বর্ষা কালে মৎস চাষ করে এবং গরমের সময়ে দীর্ঘদিন ইরি ধানের চাষ করে আসছে। ১৫ বিঘা জমিতে পুরোটায় বেড়ি বাঁধ দেওয়া, বাঁধের নিচে পুরোটাই আইল দেওয়া। উক্ত সমস্ত আইল এর চতুর পাশের্^ কয়েন তার দিয়া বিদ্যুৎ সংযুক্ত করা। তারে বিদ্যুৎ দেওয়ার কারন, ধান ক্ষেতে যেন ইদুর না ঢুকতে পারে। অর্থাৎ ইদুর মারার ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। শ্রীরামপুর গুচ্ছ গ্রামের মানিক গাজীর স্ত্রী ফজিলা বেগম (৬০)। প্রতিদিনের ন্যায় রাজহাসের খাবারের জন্য বিভিন্ন ধান ক্ষেতের আইল থেকেঘাস কাটিতে যায়। সেই সুবাদে গত ১৬ই মার্চ সকাল ৯.৩০ মিনিটে দিকে উক্ত ধান ক্ষেতের আইল থেকে ঘাস কাটতে গেলে চিকোন বিদ্যুৎ এর তার ঘাসের মধ্যে থাকার কারনে বুঝতে না পেরে পা রাখার পরপরই বিদ্যুৎ এর তারে শর্ট খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় দুই মহিলা। একই গ্রামের রবিউল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন দেখতে পেলে দুই জনকে উদ্ধার করে । তার মধ্যে ফজিলা বেগমের অবস্থা খারাপ থাকার কারনে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ্এব্যাপারে ঘের মালিক এ প্রতিনিধিকে জানায় ১৫ বিঘা জমিতে ভেড়ি বাঁধ দেওয়ার কারনে ইদুরের উৎপাতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিলো। সে কারনে রাত ১০টা হইতে ভোর ৬টা পর্যন্ত তারে বিদ্যুৎ থাকে কিন্তু দিনের বেলায় বিদ্যুৎয়ের সুইচ অফ করে দেওয়া হয়। শুধু মাত্র ১৬মার্চ গুচ্ছ গ্রামে ওয়াজ মাহফিল হওয়ার কারনে ভুল বসত বিদ্যুৎ অফ করা হয় নাই। তার কারনে এমন দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। ইদুর মারা ফাঁদে পড়ে আর যেন কোন ব্যক্তির এমন দূর্ঘটনার শিকার না হয় সে বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।