
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন ১৩নং লাবসা ইউনিয়ন। জেলায় অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে আয়তনে অনেক বড় ও জনবহুল। এই ইউনিয়নে প্রায় ৩৩ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, জেলার গর্ব একমাত্র টেক্সাইল মিলস্, বিজিবি জেলা দপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিনেরপোতায় ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, টিটিসি ভবন, পরমাণু গবেষণা ইন্সটিটিউটসহ কয়েকটি বড় পাইকারী মাছের বাজার। এছাড়াও বাইপাস সড়কসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। আর সেকারণে এই ইউনিয়নে তেমনি শিক্ষিত ও চাকরিজীবী লোকের বসবাস বেশী। এই ইউনিয়নে জনগণের দাবি আগামী ইউপি নির্বাচনে একজন সৎ, নিষ্ঠা ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি চায়। ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু নিজেকে যোগ্য ব্যক্তি হিসাবে পুনরায় চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জেলার দলীয় নীতি নির্ধারকদের নিকট নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। এ ব্যাপারে কথা হয় গোলাম কিবরিয়া বাবু’র সাথে তিনি জানায়, আমার বংশ পরমপরায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে গড়া আওয়ামী লীগ এর অনুসারী ও মহান মুক্তিযুদ্ধ স্বপক্ষের চেতনায় বিশ্বাসী। আমার পিতা মোঃ আব্দুল্লাহ সরদার কেন্দ্রীয় আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক এবং আমি গোলাম কিবরিয়া বাবু ইতোপূর্বে লাবসা ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং বর্তমানে সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও ইউনিয়নের ২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এবং স্থানীয় থানাঘাটা সোনালী সংঘের উপদেষ্টা ও নলকুড়া তরুণ সংঘের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণ কাজের সাথে সংযুক্ত রয়েছি। তিনি আরও জানান, আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হতে পারলে এই ইউনিয়নের প্রধান সমস্যা জলবদ্ধতা নিরসন ও মাদক সমস্যা নির্মূল করব। দারিদ্র্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থার আরো উন্নত করব, স্থানীয় মিলবাজার থেকে বেতনা নদী পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করব। সব মিলিয়ে জননেত্রী শেখ হাসি সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা সাধারণ জনগণের দোর গোড়ায় পৌছে দেব। ইউনিয়নের সকল রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন করব। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকার হতদরিদ্র ও সাধারণ জনগণের দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য ৬ মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ১টি এম্বুলেন্স ও ইউনিয়নে একটি সরকারি কবরস্থান স্থাপন করব। যেটি ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রণে সকলের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এই লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যখন একাধিক দুর্র্নীতির কারণে বরখাস্ত হন তখন আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করি। তখন এলাকার জলবদ্ধতা নিরসন, হাট বাজার রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ বয়স্ক ও বিধবা ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা অল্পদিনে মানুষের দোড় গোঁড়ায় পৌছেঁ দিয়েছি। তাই আমি সাতক্ষীরা জেলার আওয়ামী লীগের সুযোগ্য সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মুনসুর আহমেদ ও সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক সফল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জেলার দলীয় নীতিনির্ধারকদের মাধ্যমে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। যাতে আগামী ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এই ইউনিয়নে উন্নয়ন ও মেহনতি মানুষের সেবা করতে পারি।