সাতনদী ডেস্ক: অবৈধভাবে মৎস্য ঘেরের বাঁধ কেটে ঘের দখলের সময় বাঁধা দেওয়ায় ৫জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর পানার বিলে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে আহতদের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানাগেছে, আলীপুর মোল্যাপাড়া গ্রামের মৃত ছাত্তার আলী মোল্যা ছেলে ও আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য রবিউল ইসলাম (৪০) আলিপুর পানার বিলে ১০ বিঘা জমির একটি মৎস্য ঘের করে মাছ চাষ করে জীবিকানির্বাহ করে থাকেন। মঙ্গলবার বিকালে আলীপুর হাটখোলা এলাকার রহমতুল্লাহর ছেলে ফজলুর নেতৃত্বে মহাসিন মোল্যার জামাতা মনিরুল ইসলাম, রইচ উদ্দীনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, মনতাজ ঢালীর ছেলে বকুল ঢালী, আমিনুর ঢালী, আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুর রব, গফ্ফারের ছেলে জাহিদ, জয়নালের ছেলে বাবু, বারেক গাজীর ছেলে কবির গাজী, হরিপদ দাসের ছেলে সনদ, শফিসহ ৪০/৫০ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী রাম দা, বল্লব, সাবল, লাফনা, লোহার রড সহ বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে রবিউল ইসলামের মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টায় ঘেরের বাঁধ কাটা শুরু করে। এতে রবিউল ইসলাম বাধা দিলে তাকে বেধড়ক মারপিট ও মাথায় কুপিয়ে জখম করে। এসময় রবিউলকে উদ্ধার করতে আসলে সন্ত্রাসীরা তার অপর ভাই রফিকুল ইসলাম (৫৫), মনিরুল ইসলাম (৪৫), ভাইপো মো. আকাশ (২৪) ও রমজান আলী (৬৫)কে কুপিয়ে ও সাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং হাত-পা ভেঙে দেয়। আহত ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসী ফজলু আমার ঘের দখলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তারা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজন কে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আহতরা ন্যায় বিচার পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সদরের আলীপুরে ঘের দখলে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫ জন জখম
পূর্ববর্তী পোস্ট