জাতীয় ডেস্ক:
সম্ভাব্য দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ এড়াতে ঈদ যাতায়াত ব্যবস্থায় আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে ঈদ যাত্রা শুরুর আগেই ভাঙাচোরা সড়কগুলো সংস্কার ও গণপরিবহন সংকট নিরসনে সব রুটে বিআরটিসির বাস চালুর দাবি জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে ঈদের আগের ও পরের ১০ দিন সব জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ তিন চাকাবিশিষ্ট ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের যানবাহন নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
ঊর্ধ্বমুখী সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ঈদ যাতায়াতে দুর্ঘটনার মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে যেতে পারে।
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা বছরই দেশে অনেক জনবহুল সড়ক বেহাল দেখা যায়। ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে এসব সড়কের মেরামতকাজ শুরু হলেও তা সঠিকভাবে হয় না। ফলে একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় হয়, অন্যদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থেকে যায়। সেই সঙ্গে বাসযাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে। তাই বেহাল সড়কগুলো অতিদ্রুত মেরামতের দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
সড়কপথে ঘরমুখী মানুষ তীব্র যানবাহন সংকটে পড়েন উল্লেখ করে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, বাসস্বল্পতার সুযোগে বিভিন্ন কম্পানি ভাড়া বাড়িয়ে দেন। অনেক পরিবহন কাউন্টারে বাড়তি ভাড়ার অতিরিক্ত দামেও টিকিট বিক্রি করা হয়। অনেক কাউন্টারকর্মী টিকিট না দিয়ে যাত্রীদের বাসে উঠিয়ে দেন।
বাসশ্রমিকরা ওইসব যাত্রীর কাছ থেকে মাঝপথে জবরদস্তি করে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ-তিন গুণ টাকা আদায় করেন। এ ছাড়া প্রতি ঈদে অধিকাংশ বাস সার্ভিসের সময়সূচি বিপর্যয় দেখা দেয়। এর ফলে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা তীব্র পরিবহন সংকট ও ভাড়ানৈরাজ্যের দুঃসহ যন্ত্রণা নিরসনে ঢাকাসহ বড় শহরগুলো থেকে দূরপাল্লার সব রুটে বিশেষ ব্যবস্থায় বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল বাস সার্ভিস’ চালুর দাবি জানান।