
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রধানমন্ত্রীর উপহার
প্রফেসর ডাঃ রুহুল হকের অবদান সবার উপরে
হাবিবুর রহমান: ‘সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রধানমন্ত্রীর উপহার। ডাঃ রুহুল হক এমপির প্রচেষ্টায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সবার ঐকান্তিক চেষ্টার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মানুষের সেবা দিয়ে যাবে।’ গতকাল সকাল এগারটায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভার সভাপতি মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি এমপি এসব কথা বলেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, তত্বাবধায়ক ডাঃ শেখ কুদরত-ই-খুদা, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হুসাইন শাফায়াত, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কাজী আরিফ আহম্মেদ, ডাঃ মোঃ রুহুল কুদ্দুস, ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান, ডাঃ মানস কুমার মন্ডল, বিএম এর সভাপতি ডাঃ আজিজুর রহমান।
সভাপতি মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি এমপি আরও বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য গর্বের।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপির অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার প্রচেষ্টাতেই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এটি রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব আমাদের সবার। নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত আর্মড আনছার নিয়োগ দিতে হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সংখ্যাও অত্যন্ত অপ্রতুল। এ ব্যাপারে তিনি উপস্থিত সার্কেল এ এসপির মতামত চান। ’
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নানাবিধ সংকটের বিষয়ে এমপি রবি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ ব্যাপারে দেনদরবার করা হবে।’ সার্বক্ষনিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা ভাল থাকলে আমি ভাল থাকবো। ’
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার স্টাফদের প্রশংসা করে এমপি রবি বলেন, ‘এখানে জীবনবাজি রেখে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা। এছাড়াও নানাবিধ সমস্যা মোকাবেলা করে হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দেয়ায় তিনি ডাক্তার নার্সদের ধন্যবাদ জানান।’ তিনি তত্বাবধায়কের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আপনার চাহিদা পত্র পাঠান। আদায় করে আনা আমার কাজ। এজন্য আমি ডোর-টু-ডোর যেতে প্রস্তুত।’
সভার শুরুতে তিনি পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরনী শুনে সবার সম্মতি নিয়ে অনুমোদন দেন।
সভার দ্বিতীয় আলোচ্য সূচির বিষয়ে এমপি রবি বলেন, ‘ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্যামনগরে আগমন উপলক্ষ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর যে সব নির্দেশনা এসেছে তা একশ ভাগ পালন করতে হবে। এ ব্যপারে তিনি সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান।’
তৃতীয় আলোচ্য সূচী জনবল সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি জাতীয় সমস্যা। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে এটি সমাধানের পথ বের করতে হবে। আউটসোর্সিং এর জনবল নিয়োগে হাইকোর্টের মামলার বিষয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে সকলকে পরামর্শ দেন।’
অপর আলোচ্য সূচী আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মরচুয়ারিটি (শবাগার) হাসপাতালে স্থাপনের বিষয়ে তার সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভাল সিদ্ধান্ত।’
অন্যান্যের মধ্যে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কাজী আরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের সেবার মান বাড়াতে হবে। যে অবস্থায় আছি এর চেয়ে উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করতে হবে। সীমাবদ্ধতার অজুহাতে সেবা থেকে বিরত থাকা যাবে না। হাসপাতালের অবকাঠামোগত কাজের মান নিয়েও তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষন করেন।’
ইন্টার্ন ডাক্তার সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে বেতনের ব্যবস্থা করতে পারলে তাদের কাজে লাগানো যেতে পারে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালাতে ইন্টার্ন ডাক্তারদের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বিষয়টি সংসদে উপস্থাপনের জন্য তিনি সভার সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষন করেন।’
সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম তার বিভাগের নানাবিধ সংকটের কথা বলে তা সমাধানের জন্য সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। কারডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট ডাঃ সুমন কুমার দাশ তার বিভাগ সহ হাসপাতালের সার্বিক সমস্যার কথা তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য সভার সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। সভাটি পরিচালনা করেন ডাঃ মোঃ আলমগীর কবির।