
জাতীয় ডেস্ক:
সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগ। আটককৃতরা হলো- মো. মজিবুর রহমান, নাসির উদ্দিন, মো. হারুন অর রশিদ, জয়নাল, মো. কবির হোসেন, মো. হারিছ, মো. আরব আলী ও ইদ্রিস মুন্সি। এ সময় আটককৃতদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ধরণের চেতনানাশক ট্যাবলেট ও পানীয়, ঝাঁঝালো পদার্থ মিশ্রিত ভ্যাসলিন উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকালে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর যানবাহনে এবং বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে মলমপার্টি/অজ্ঞানপার্টি চক্রের দৌরাত্ম বৃদ্ধি রোধ ও সাধারণ যাত্রী ও পথচারীদের দুর্ভোগ লাঘব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিম শ্যামলী শপিং সেন্টার ও শ্যামলী হল এলাকা থেকে সংঘবন্ধ মলমপার্টি/অজ্ঞানপার্টি চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে।
আটককৃতদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এরা ম‚লত যাত্রী বেশে বিভিন্ন গণপরিবহনে উঠে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনালসহ জনসমাগম স্থলে ভিড়ের মধ্যে নিরীহ যাত্রী বা পথচারীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে তাদেরকে বিস্কুট, কলা, কেক, পানি, ডাব বা অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর আমন্ত্রণ জানিয়ে ঐসব খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে অজ্ঞান করার ঔষধ মিশিয়ে নিরিহ যাত্রী ও পথচারীদের অজ্ঞান করে তাদের মোবাইল, মানিব্যাগ, ল্যাপটপসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে তাদেরকে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে কৌশলে কেটে পড়ে। মুলত সারা বছর তারা এই কাজ করলেও ঈদ, পূজা, রোজাসহ অন্যান্য পার্বনকে সমানে রেখে তাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, তারা আগেও ডিবি পুলিশ কর্তৃক আটক হয়েছে এবং তাদের নামে মহানগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. গোলাম সবুরের নির্দেশনায় মোহাম্মদপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আনিচ উদ্দীনের নেতৃত্বে উক্ত অভিযানটি পরিচালিত হয়।