
আশাশুনি প্রতিনিধি : শ্রীউলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান রিটুকে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে শ্রীউলা গ্রামের ওহাব সরদারের ছেলে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম সংক্ষুব্ধ হয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
বিগত ২০১৩ সালে স্বৈরাচার যআওয়ামীলীগর দায়ের করা একাধিক মামলায় তিনবার কারা বরণ করেছি। এক পর্যায়ে আমি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।
শ্রীউলা একই গ্রামের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান রিটু বর্তমানে আওয়ামীলীগ সহসভাপতি পদে বহাল আছে। অথচ এখন তাকে শ্রীউলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য করা হয়েছে। রিটু বিএনপির কর্মী গোলাম রসুল ডবলুকে হত্যা মামলার আসামী সহ জিআর-১০০/১৯, জিআর-১৭/১৯, জিআর-৪১/০৬ জিআর-২০৮/০৫ নং মামলার আসামি। তার অত্যাচারে বহু বিএনপি নেতাকর্মী জর্জরিত। তৎকালীন ২০১৫ সালে মহিষকুড় মৎস্য সেটে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে গুলি ছোড়ে। গুলি থেকে বিএনপি নেতা মশিউর রহমান মোল্যা রক্ষা পেলেও তিনি বর্তমানে বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
রিটুর শ্যালক মোহাম্মদ মধু দ্বারা আমার পরিবার নির্মনভাবে নির্যাতিত হয়। ২০১৪ সালে তারা আমার ৪ টি মৎস্য ঘের লুটপাট করেছে। এ কাজে বাঁধা দিলে তারা আমার স্ত্রী ও মাকে বেদমভাবে মারপিট করে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ।
রিটু ও মধু তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত অস্ত্র চোরাচালানকারী ব্যক্তি হিসেবে পত্রদূত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সেই রিটু ও তার স্ত্রী শিরিনা আক্তার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হওয়ায় শ্রীউলা ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
আওয়ামীলীগের দোসররা যাতে বিএনপির কমিটিতে স্থান না পায় সেজন্য বিএনপির পরীক্ষিত ও নির্যাতিত কর্মী হিসেবে উপজেলা ও জেলা বিএনপির উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।