নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্যামনগরে রিডা হাসপাতালে অপচিকিৎসায় জীবন সংকটে আছে এক নবজাতক। দালালের খপ্পরে পরে অপরিনত অবস্থাতেই সিজারিয়ান অপারেশন করে আইসিইউতে মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে নবজাতক।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখ শুক্রবার সন্ধায় সোরা গ্রামের ইয়াছিন মোল্লার স্ত্রী আসমা আক্তার লিমা (২১) রিডা হাসপাতালে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পরে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পেটের বাচ্চার হার্ট কাপছে, ওজন ৩ কেজি হয়ে গেছে, এখন যদি সিজার না করা হয় তাহলে বাচ্চা সহ বাচ্চার মা বিপদগ্রস্ত৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন করার জন্য সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয়। অথচ আল্ট্রাসনোগ্রাফি রির্পোটে স্পষ্ট ভাবে লেখা বাচ্চা তার মায়ের পেটের ভিতরে থাকার সময়ে ১৪৪ হার্টবিট চলে। যা একটা সুস্থ সবল স্বাভাবিক বাচ্চার থাকার নিয়ম ১৪০-১৫০ হার্টবিট। এতে করে আসমার বাচ্চাটা সুন্দর অবস্থানে ছিলো। আসমার আল্ট্রাসনোগ্রাফি রির্পোটে ১ মাস বাকি থাকলেও বাচ্চা মারা যাওয়ার ভয় দেখিয়ে রিডা হাসপাতালের দালাল শফিকুল নিজে অপারেশন থিয়েটরের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দেয়। এনেস্থিসিয়া ছাড়াই ডাক্তার শফিকুল ও ডাঃ ফতেমা ইদ্রীস ইভার দ্বারা অপারেশন সম্পন্ন করা হয়৷ বাচ্চার ওজন ৩ কেজি দেখানো হয়৷ অথচ ঐ বাচ্চা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ভুল অপারেশনে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে না পারায় ইয়াছিন মোল্লা বাধ্য হয়ে রিডা হাসপাতাল থেকে রেফার নিয়ে খুলনা আদ-দীন মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করায়৷ সেখানের ডাক্তার বাচ্চাটি দেখার পরে বলে, এতো কচি বাচ্চা কেন অপারেশন করে বের করলেন? কারা করলো এই নিষ্টুর কাজ? আদ-দীনে মেডিকেলে বাচ্চকে ওজন দেওয়ার পরে ইয়াছিন মোল্লা জানতে পারে বাচ্চার ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম। ওখানের ডাক্তার বেলাল রিডা হাসপাতাল কর্তৃক ডিজিটাল আল্ট্রাসনোগ্রাফির কাগজ নিয়ে দেখেন, বাচ্চার হাটবিট ভাল ছিলো, বাচ্চার পজেশন ভাল ছিলো, বাচ্চার মায়ের পেটের পানি ও ঠিক ছিলো। কিন্তু ভয় দেখিয়ে রিডা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ অপারেশন করে৷বর্তমান বাচ্চাটা খুলনা আদ-দীন মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রিডা হাসপাতালের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তথ্যগুলো ভুল। ইয়াছিন-আসমা দম্পতি বাড়ি থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছিলো যে সিজার করবে। স্বাভাবিকভাবেই সিজার হয়েছে। কিন্তু প্রসব পরবর্তী সময়ে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে গেলে আমাদেরতো করার কিছু নেই।'