নিজস্ব প্রতিবেদক: ২ মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী থানায় হাজির হয়ে সাংবাদিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলেন। এঘটনায় শ্যামনগরের মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটা শ্যামনগর থানার কেরামতি। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে যে, ১৪৪ নং সৈয়দপুর মৌজায় বিএস ১৭৫,১৬৫, ১৬৬ নং দাগে ৩.৩৩ একর জমি নিয়ে বাধঘাটা গ্রামের জুলফিকর আলী ভুট্টোর পুত্র নাছিম সরদারের সাথে একই গ্রামের গফুর গাজীর পুত্র আলমগীর হোসেনের বিরোধ চলে আসছিলো। এঘটনার সূত্র ধরে নাছিম সরদার বাদী হয়ে গত ৩০ মে ২০২১ তারিখে আলগীর হোসেনকে ১নং আসামী করে ১৪ জন এবং অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের নামে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার ১০ জন আসামী এই সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানে না এবং সাথে ২জন সাংবাদিকও রয়েছে।
শ্যামনগর থানায় নাছিম সরদারের দায়ের করা মমলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “আমি নাছিম সরদার অদ্য থানায় হাজির হইয়া মামলা দায়ের করিতেছি। কিন্তু খোজ নিয়ে জানা গেছে, নাছিম সরদারের নামে ৪ মে ২০২১ ইং তারিখে মামলা নং ১৫, ৩নং ওয়ারেন্ট ভ‚ক্ত আসামি এবং ৩ মে ২০২১ ইং তারিখে মামলা নং ১/১৬৮, ১নং ওয়ারেন্ট ভ‚ক্ত আসামি। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী নাছিম সরদার বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। একজন পলাতক আসামি থানায় হাজির হয়ে কিভাবে মামলা দায়ের করলেন এ প্রশ্ন শ্যামনগরের সচেতন মহলের ।
একজন পলাতক আসামি হয়ে নাছিম সরদার কিভাবে থানায় হাজির হয়ে সাংবাদিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট মামলার আইও এসআই রিপন বলেন, নাছিম সরদার একজন পলাতক আসামী, তাকে আমরা (পুলিশ) খুজছি। এ অবস্থায় তার থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা করা অসম্ভব।
এব্যপারে বক্তব্য জানার জন্য শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ব্যপক চ ল্যসৃষ্টি হয়েছে এবং উপজেলা ব্যপি সমলোচনার ঝড় উঠেছে।
শ্যামনগর থানার কেরামতি ২ মামলার আসামী থানায় হাজির হয়ে মামলার বাদী হলেন
পূর্ববর্তী পোস্ট