
শ্যামনগর প্রতিবেদক: শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদ প্রকল্পে পাইলিং ঢালাইয়ের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টার সময় ঢালাইয়ের শুভ উদ্বোধন করেন সাতাক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের প্রতিনিধি শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি এম আকবর কবীর।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: শাহিনুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো: জিল্লুর রহমান, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজ ক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন (মিলন), প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: শাহিন আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো: ওলিউর রহমান, শ্যামনগর বাজার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক মো: ফিরোজ হোসেন। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মূফতি আলহাজ্ব আব্দুল খালেক। সাতক্ষীরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়ন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান এন্ড সন্স লিমিটেড বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির মোট চুক্তিমূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ১২,৪৯,১৬,৮৪৭ (বার কোটি উনপঞ্চাশ লক্ষ ষোল হাজার আট শত সাতচল্লিশ টাকা।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের জানান, “১৮ মাসের মধ্য শ্যামনগর উপজেলা মডেল মসজিদটি নির্মান করা সম্ভব হবে।”
প্রকল্প পরিচালক মো. নজিবর রহমান জানান, ‘‘বিশুদ্ধ ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকা-ের কেন্দ্রে পরিণত হবে এই মসজিদগুলো। পরিচালনা করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।’’ তিনি আরো জানান, ‘‘বিশ্বে কোনো মুসলিম শাসকের একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ এই প্রথম।
তিন ক্যাটাগরির মসজিদের মধ্যে জেলা ও মহানগরে ৬৯টি এবং বাকিগুলো উপজেলা উপকূলীয় এলাকায় বাস্তবায়িত হবে। জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিটি মসজিদ তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। উপজেলা পর্যায়ে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং উপকূলীয় এলাকায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পে সৌদি সরকারের অর্থায়নের কথা থাকলেও পরে তারা করেনি। এখন পুরো প্রকল্পটিই সরকারের অর্থে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন।
মসজিদ গুলো ৪০ শতাংশ জমির ওপর জেলা পর্যায়ে চার তলা, উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চার তলা ভবন। মসজিদে একই সঙ্গে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে। নারীদের আলাদা নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।