
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর ব্যুরো: আগামী ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনকে ঘিরে সারা উপজেলায় সাজ-সাজ ভাব চলছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বস্তরে আলোচনার ঝড় বইছে। চলছে কাউন্সিলর তালিকা চুড়ান্ত করার কাজ। ২১ নভেম্বরের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ থেকে ৩১ সদস্যের কাউন্সিল তালিকা উপজেলা আওয়ামীলীগের কাছে জমা দেওয়ার নির্দশনা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতি ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক মিলে ১৮জন, বাঁকি ১৩জন কো-অপশনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। এই ১৩জন কাউন্সিলরে মধ্যে নাম লিপিবদ্ধ করতে জামাত বিএনপি পন্থীর লোকেরা দৌড়-ঝাপ শুরু করেছে। এবার কাউন্সিলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে নতুন কোন কমিটি হচ্ছে না। কারণ তৃণমূল পর্যায়ে নতুন কমিটি হলে জামাত-বিএনপি এবং প্রভাবশালীরা ত্যাগী আওয়ামীলীগারদের ঠেলে দিয়ে নতুন কমিটিতে অনুপ্রবেশ করে দলের পদ দখলসহ বড় পদে ঢুকতে পারে এমন আশংখায় কেন্দ্র থেকে তৃনমূলের কমিটি বিলুপ্তি করা হয়নি। জামাত বিএনপি পন্থীরা ওই সুযোগ না পেয়ে শ্যামনগর উপজেলায় চলমান তৃ-বার্ষিক সম্মেলনে প্রতি ইউনিয়নে ১৩ জন কো-অপশনের ভিতরে কাউন্সিলর তালিকায় নাম ঢুকানোর জন্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতাদের কাছে ধরনা ধরছে। অনেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক তাদের আত্মীয়র পরিচয় দেখিয়ে কাউকে না কাউকে কাউন্সিলর করবে বলে নানা কৌশল করছে। তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট আসনের এমপি এসএম জগলুল হায়দার বলেন, স্বজন প্রীতি করে জামাত -বিএনপি পন্থীদের কাউন্সিলর করা এবং প্রকৃত আওয়ামীলীগারদের যদি বাদ দেওয়া হয় তার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দলীয় বিধান অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা বলেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন।