বিশেষ প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১২২ নং গাবুরা খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত (তৃতীয় পর্যায়) শেষ হল গতকাল। স্থানীয় ব্যক্তি হাবিবুল্লাহ আল মামুন এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব হোসনে ইয়াসমিন কারিমী নির্দেশিত তদন্ত কার্য পরিচালনা করেন আশাশুনী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জনাব গৌরাংগ গাইন। তদন্ত কর্মকর্তার সহায়তা করতে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার জনাব হুমায়ুন কবির।
এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ বাহার সহ জন গ্রামের সুশীল সমাজের লোকজন ও অভিভাবক বৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। একই অভিযোগের জন্য ইতোপূর্বে আরো দুইবার তদন্ত করা হয়েছে। বিগত তদন্ত সমূহে শিক্ষক দেলোয়ারের অপরাধ সমূহ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বিগত সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের উপজেলা পর্যায়ের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নানা প্রকার দূর্ণীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছেন।
অভিযোগকারী হাবিবুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জেলে কার্ড করিয়ে দিতে মোটা অংকের অর্থ গ্রহন করেছেন, যা পরে ভূয়া প্রমানিত হয়েছে। ভূয়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং দপ্তরী নিয়োগ দেবে বলে দুইজনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ করে টাকা নিয়েছেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসেও নেতার প্রভাব খাটিয়ে বদলী সহ বিভিন্ন কাজে হস্তক্ষেপ করে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
উপজেলার ১৩টি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করিয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন শ্যামনগরের ৭৩টি বিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারি বাজেট দেবেন বলে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়েছেন। আজ তদন্ত কার্যক্রমকে ব্যহত করতে শিক্ষক বাইরে থেকে জনবল ভাড়া করেছে। শিক্ষক দেলোয়ারের সকল অপকর্মেও দ্রæত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন- শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের নামে অভিযোগগুলি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। নিরপেক্ষভাবে রির্পোট তৈরী করার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করব। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব উর্ধতন কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারের হোসেনের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে স্থানীয় একটি মহলের সাথে আমার বিরোধ তৈরী হয়। এরপর থেকে তারা আমার বিরুদ্ধে এসব করে বেড়াচ্ছে।