নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকর্তাদের বদলি না হওয়ার কারণে বর্তমানে হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতির আখড়া।
ভূমি অফিসগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটা ভূমি অফিসে সহকারি ভূমি কর্মকর্তাদের একের অধিক করে রয়েছে দুর্নীতি করার জন্য নিজস্ব লোক নিয়োগ, তার মাধ্যম দিয়ে উৎকোচ আদায় করে সাধারণ মানুষদের বিপদে ফেলছে।
যেমন ২৭০০ টাকার চেক রশিদে নিয়েছে ২৭০০০ হাজার টাকা। দুই হাজার টাকার খাজনার চেক রশিদে ৫৭০০ টাকা। এলাকার মানুষের অভিযোগ, একটানা তিন থেকে চার বছর করে একই অফিসে চাকরি করার কারণে এমনই দুর্নীতিতে ভরে গেছে প্রতিটা ইউনিয়ান ভূমি অফিস। এলাকার গরিব দুঃস্থ মানুষগুলো তাদের চাহিদা মেটাতে ে য়ে সর্বশান্ত হচ্ছে।
পরিদর্শনে আরো দেখা যায়, প্রতিটা মিউটেশন খারিজ বাবদ ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা আদায় করছে। এক কথায় যার টাকা আছে সে খাজনা করতে পারছে এবং মিউটেশন খারিজ করতে পারছে। তবে কি ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলো পুঁজিবাদীদের দখলে চলে গেল? প্রশ্ন সচেতন মহলের।
শুধুমাত্র ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করে গড়ে তুলছে কোটি কোটি টাকার পাহাড়, প্রসাদ সম বাড়ি, এবং দামি দামি গাড়ি। গত কয়েক মাস হয়ে গেল সহকারী ভূমি কর্মকর্তার দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছিল আবু সুফিয়ান। তদ্রুপ তদন্তপূর্বক প্রতিটা ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা একই দুর্নীতিগ্রস্ত।
ইউনিয়ন সহকারি ভূমিকর্তাদের রদবদল করে তাদের দুর্নীতির লাগাম টানতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসি।