
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর ব্যুরো: আগামী ১লা ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। উক্ত সম্মেলনের দিন-ক্ষন ঘোষনার সাথে সাথে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে শ্যামনগরের সর্বস্তরের আলোচনার ঝড় বইছে। ১লা ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা সম্মেলন উপলক্ষ্যে গোটা উপজেলায় আওয়ামীলীগারদের মধ্যে শতাধিক নবীন ও প্রবীন নেতা কর্মীর সাথে কথা হয়। অধিকাংশ নেতা-কর্মীর অভিমত সভাপতি, সম্পাদকে পরিবর্তন আসছে না। থেকে যাছে এমপি জগলুল হায়দার ও আতাউল হক দোলন। তবে শোনা যাচ্ছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আনিছুজ্জামান (আনিচ) সাধারণ সম্পাদক ও নূর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সভাপতি পদে প্রতিদদ্বিতা করতে পারে এমন আভাষ পাওয়া গেছে। গত সম্মেলনে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জিএম শফিউল আযম লেনিন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে চেয়ে শেষ পর্যন্ত করেননি। আর গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ আতাউল হক দোলনের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে ৩ ভোটে পারজিত হন। তবে এবার শফিউল আযম লেনিনর উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার কোন আলোচনা শোনা যাচ্ছে না। শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের শতাধিক নেতাকর্মী ও সম্ভাব্য কাউন্সিলদের সাথে কথা বলে পরিষ্কার হওয়া গেছে ১লা ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সভাপতি, সম্পাদক পদে নতুন মুখের কোন সম্ভাবনা নেই। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম মতিউর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর আলম অভিমত ব্যক্ত করেন, কোন প্রতিদন্দিতা ছাড়াই হয়ত এসএম জগলুল হায়দার সভাপতি ও এসএম আতাউল হক দোলন সাধারণ সম্পাদক পদে পূনরায় নির্বাচিত হতে পারেন।