জিয়াউর রহমান শ্যামনগর থেকেঃ বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর ব্যানারে কেন্দ্র ঘোষীত আন্দলনের অংশ হিসেবে আজ বুধবার (৪অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ের সকল স্বাহ্য সহকারীরা উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্হান কর্মসূচী পালন করে এবং তাদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন। সংগঠনটির পক্ষে আতাউর রহমান তিনি বলেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মস্থলে ফিরবো না।
আশার বাণী নয়, বাস্তবায়ন চাই, স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এক নেতা বলেন, ‘এবার আর কেবল আশ্বাসে চলবে না, বাস্তব পদক্ষেপ চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’
স্বাস্হ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে– নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতক বা সমমান যুক্ত করা, ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা।সারাদেশে ১৫ হাজার টিকাদান কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মা ও শিশু টিকা নেন। আমাদের কর্মবিরতির কারণে তারা এখন টিকা পাচ্ছেন না।, ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে সেটি অনিশ্চয়তায় পড়বে। এতে প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর টিকা বঞ্চিত হতে পারে।
এসময় উপস্হিত ছিলেন সংগঠনের উপজেলা সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান, সহ-সভাপতি, নূর মোহাম্মদ ও নুরজাহান খাতুন, সাধারণ সম্পাদক, আমিনুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক -আরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ সৌরভ মন্ডল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কাকলি সোনা, সদস্য -মারুফ বিল্লাহ, হাফিজুর রহমান, উত্তম কুমার, ফয়জুল্লাহ, হামজার আলী,আতাউর রহমান সহ সকল স্বাস্থ্য সহকারী গণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।