
আব্রাহাম লিংকন: শ্যামনগরের কৈখালীতে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নগদ ৪০ হাজার টাকায় রফা-দফা করে ১০ দিন সাসপেন্ড করা হয়েছে ঐ শিক্ষককে। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, কৈখালী ইউনিয়নের নৈকাটী গ্রামের মোসাদের গাজীর পুত্র নৈকাটী সিরাতুনবী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নূরুল হক গাজী পুরাখালী গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া (১৩) ছাত্রীকে গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করে। ঘটনাটি ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে জানায়। পরিবারের লোকজন স্থানীয় মোড়ল মাতব্বরদের কাছে জানাজানি করে। এদিকে ঐ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নওশেরুজ্জামান তার আপন বড় ভাই হওয়ার কারনে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি/সাধারন সম্পাদক সহ ঐ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ঝামেলাটি মিটিয়ে নেয়ার জন্য মেয়ের পিতাকে চাপ সৃষ্টি করে। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গত ২০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি/সাধারন সম্পাদক সহ ঐ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি বিষয়টি নগদ ৪০ হাজার টাকায় ধামা চাপা দেয় এবং শিক্ষক নূরুল হক গাজীকে ১০ দিন সাসপেন্ড করে। একজন মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর শীলতাহানির বিষয়টিতে এলাকায় ব্যপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। মেয়ের পরিবারে কাছে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য গেলে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি প্রতিনিধির উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মাদ্রাসা শিক্ষক নূরুল হক গাজী বাড়ীতে না থাকায় ০১৭১৯১৩৫৭৬৭ নং ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনে রিং হলেও তিনি ফোন ধরেনি। এ দিকে ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম বিভিন্ন তর্কে বিতর্কে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ জাহিদ হোসেন বলেন, সব বিষয় বলা যায় না। কারন এটা মাদ্রাসার বিষয়। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নওশেরুজ্জামান ০১৭২০৩৬০৯০৬ নং মোবাইল ফোনে বিষয়টি মিথ্যা বলে এড়িয়ে যান। ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজগার আলী বিষয়টি সত্য বলে জানান। ৭.৮.৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি তবে তারা মিমাংসা করে নিয়েছে। এতে আর কি করার আছে। ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, এ বিষয়ে ঐ এলাকার অনেক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার ২ ছাত্রী জানায়, শিক্ষক নূরুল হক গাজী ঐ ছাত্রীর যৌন হয়রানি করেছে এটা সঠিক। সে এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় এখন মাদ্রাসায় আসে না। এ দিকে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল নৈকাটী সিরাতুনবী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নূরুল হক গাজীকে তার কু-কর্মের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।