জি.এম আমিনুর রহমান, শ্যামনগর থেকে:
শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর উত্তর হাজীপুর গ্রামে ইরি ধান ক্ষেতে লোনা পানি ঢুকিয়ে ফসল নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ কারিদের ভাষ্যমতে উত্তর হাজিপুর গ্রামের নূরআলী গাজীর পুত্র আব্দুল কাদের, হামেজদ্দিন কারিকারের পুত্র মক্কার কারিকার এবং সামছুর গাজীর পুত্র আক্তার আলী কতৃক ইরি ফসলি ১৫ বিঘা জমির লাগোয়া সীমানায় কোন প্রকার আউট ড্রেন না রেখে মৎস্য ঘের করায়, ঘেরের লোনা পানি ফসলি জমিতে ঢুকে উক্ত জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা এর প্রতিকার চেয়ে ২০/০৪/২০২০ইং তারিখ সাতক্ষীরা ০৪ আসনের সংসদ সদস্য এস, এম জগলুল হায়দার বারাবর দরখস্ত করলে তিনি বিষয়টি নূরনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম সোহেল রানা বাবুকে তদন্ত পূর্বক স্থানীয়ভাবে মিমংসার দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক বিচারে বসলে অভিযুক্তদের মধ্যে মক্কার কারিকর হাজির হয়ে আদেল গাজীর পুত্র মুরশিদের ২ বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি পূরণ দেবে বলে জানায় এবং আনসার গাজীর পুত্র টুটুল, আব্দুর রহিমের পুত্র রবিউল,গনি মোড়লের পুত্র গফফার মোড়ল, সামছুর গাজীর পুত্র আক্তার আলীর, কালু মোড়লের পুত্র কুদ্দুস মোড়ল, ইউসুফ কারিকরের পুত্র হামিদ কারিকর, কালু মোড়লের পুত্র সামছুর মোড়ল, নূর আলী সরদারের পুত্র ইয়াছিন সরদার, নওশের মোড়লের পুত্র লাভলু সহ কয়েক জনের ১বিঘা করে জমির ফসল নষ্ট হলেও অভিযুক্ত আব্দুল কাদের ক্ষতি পূরণ দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ঘের মালিক আব্দুল কাদের এর সাথে কথা বললে তিনি , আমার ঘেরের পানি সামান্য পরিমান ঢুকেছে কিন্তু তার আগে থেকেই তাদের জমিতে পরিমান মত সেচের পানি না থাকায় ধানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এখবর ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানালে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ ভুৃক্তভোগীরা একত্রিত হয়ে বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধানের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।