নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় ষড়যন্ত্র মূলকভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে জোরপূর্বক এক মাদ্রাসা ছাত্রের সাতে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেরনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার মেহেন্দীনগর গ্রামের জি,এম আবু সাঈদ এর ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র মো. আল ইমরান হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি শ্যামনগর কেন্দ্রীয় ফাজিল মাদ্রাসার ৩য় বর্ষের ছাত্র। কালিগঞ্জ উপজেলার গোয়ালপোতা গ্রামের মৃত রেফাজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম বৈদ্য সর্ম্পকে আমার খালু হন। তিনি তার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার অনুরোধ জানালে স্বরল বিশ্বাসে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল আমি তার বাড়িতে যাই। রাতে আমার খালু রহিম বৈদ্য তার ভাই হাকিম বৈদ্য, রশিদ বৈদ্য এবং শহিদ বৈদ্যের ভায়রা ভাই মৃত আঃ গফুর সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান তার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে। পরে তার আপন ভাই আব্দুর শহিদের প্রতিবন্ধি মেয়ে খাদিজার সাথে এক লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে আমার পছন্দ না থাকা স্বত্বে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করে। কিন্তু খাদিজা নাবালিকা হওয়ায় বিয়ে রেজিঃ করতে পারেনি। খাদিজার দাখিল পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ০৭/০২/২০০২। বিষয়টি আমার পিতা-মাতা এবং মামা আবু রায়হান জানতে পেরে পরের দিন সকালে খারুর বাড়িতে গেলে আমার খালু ও তার ভাইয়েরা তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে অপমানিত করে। পরে পিতা-মাতার সাথে আমি বাড়িতে চলে যাই।
আল ইমরান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, খাদিজার পিতা কুয়েতে চাকুরি করার সুবাদে আমার খালু আব্দুর রহিম বৈদ্য ও খাদিজার মায়ের নামে টাকা পাঠাতো। খাদিজার পিতার পাঠনো প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আমার খালু আত্মসাৎ করে। এনিয়ে খাদিজার বাবার সাথে আমার খালু রহিমের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। আমার খালু তার ভাইকে শান্ত করার জন্য কৌশলে আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে প্রতিবন্ধি নাবালিকা খাদিজার সাথে আমার বিয়ের নাটক সৃষ্টি করে। বিষয়টি মিমাংশা করার কথা বলে খালু তালবাহনা শুরু করলে নিরুপায় হয়ে বিয়ে রেজিঃ না হওয়া স্বত্বেও দেন মোহর ও খোরপোষ দিয়ে গত ০৮/০২/২০ তারিখে খাদিজাকে তালাক প্রদান করি। তালাক নোটিশ পাওয়ার পর আমার খালু কালিগঞ্জের দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমানকে প্রভাবিত করে একটি জাল কাবিননামা এবং একটি বেসরকারি কিনিক থেকে জাল মেডিকেল সার্টিফিকেট ম্যানেজ করে। পরে ওই জাল কাগজপত্র দেখিয়ে আমিসহ আমার বাবা ও মা'কে আসামি করে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। পরে মিথ্যে তথ্য দিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় পত্রিকায় একটি ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায়। আমি প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
তিনি নাবালিকা খাদিজার দায়ের করা মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।