# হাফ ডজন মামলার শিকার কয়েক‘শ মানুষ গ্রামছাড়া।
# ৯৩ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট, মৎস ঘের দখল।
বিশেষ প্রতিবেদক: বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে একটি মার্কেট দখল করে বিএনপির অফিস বানানো হয়েছে। নির্বিচারে শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। হাফ ডজন মামলা দিয়ে কয়েকশত মানুষকে করা হয়েছে এলাকা ছাড়া। দখল করা হয়েছে মৎস ঘের ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঘটনাটি দেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫ই আগষ্টের পর গাবুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম তার বাহিনি দিয়ে প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী সহ সাধারণ মানুষের নামে দুইটি হত্যা সহ ছয়টি মামলা দায়ের করে। এখানে আসামী শ্রেণী ভূক্ত করা হয় কয়েকশত মানুষকে। স্থানীয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাংবাদিক শেখ আব্দুল হাকিম এক সময় গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার কারণে মাসুদুল আলম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে। এরই প্রতিশোধ হিসাবে ৫ই আগষ্টে পর শেখ আব্দুল হাকিমের গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া বাজারের শেখ মার্কেট মাসুদুল আলম ও তার বাহিনি দখলে নিয়ে নেয়। পরে দখল করা ওই মার্কেটে গাবুরা ইউনিয়ন বিএনপির কার্য্যালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও আব্দুল হাকিমের সরকারি টিসিবির গোডাউনে থাকা অর্ধলক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করা হয়। গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নং সোরা গ্রামের করিম সরদার, ইউসুফ সরদার, আফসুর মোল্লা, সাইদুল গাজী, চাঁদনীমুখা গ্রামের রহিম মাস্টার, নাফিদখালি গ্রামের নুরুজ্জমান সহ অন্যান্ন বাসিন্দাদের ৯৩ টি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট করে বিএনপির নেতা মাসুদুল আলম ও তার বাহিনী। মাছের ঘের দখল করে নেয় মোস্তাফিজুর রহমান সহ অনেকের।
চকবারা গ্রামের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম এর সরকারি ফেয়ার প্রাইজ এর ৩৩ বস্তা চাল বিতরণকালে লুটপাট করে নেয় তার বাহিনি। সাংবাদিক আব্দুল হাকিম সহ তার পরিবারের ৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা, নাপিতখালি গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের পরিবারকে দিয়ে শ্যামনগর উপজেলার ৮৫ জন নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হত্যা মামলা দেওয়া হয়। গাবুরা ইউনিয়নে কোনো কালে বিএনপির অফিস না থাকলেও বিএনপির অফিস ভাংচুর দেখিয়ে বহু মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। পারশেমারী গ্রামের মৃত ছাত্তার জোয়াদ্দার এর ভাই রবিউল জোয়াদ্দারকে দিয়ে নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৯ নং সোরা গ্রামের আব্দুল হালিমের জামাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের এক সদস্যকে বাদী করিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার মূলে বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলমের প্রকাশ্যে মদদ আছে। নিরিহ কয়েকশত মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মাসুদুল আলম ও তার বানিহি অর্থ বানিজ্যে নেমেছে। মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে কয়েক‘শ মানুষ বাড়িছাড়া হয়েছে। অভিযোগ আছে জেলা বিএনপির শীর্ষ এক নেতার শেল্টারে বিএনপি নেতা মাসুদুল আলম এসব এব অপরাধ করে চলেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা রয়েছে কোথাও কোন হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, দখল কর্মকান্ড না করার। এসব নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।