নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপাজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে দু’টি বাড়ি, রাস মন্দির, শীতলা মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরসহ ১১জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখমের ঘটনায় পুলিশ সন্ত্রাসী আব্দুল আলীমকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে তাকে তার নিজ বাড়ি উপজেলার বংশীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল আলীম ওই গ্রামের বক্কর গাজীর ছেলে।
শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক রিপন মল্লিক জানান, গত ১৩ এপ্রিল উপজেলার কদমতলায় নগেন বাউলিয়া ও সুভাষ বাউলিয়ার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, লুটপাটসহ ১১জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পাশপাশি রাসমন্দির ও শীতলা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গোবিন্দ বাউলিয়া বাদি হয়ে আকবর পাড়সহ ১১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০ জনের নামে মামলা করেন। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামী আব্দুল আলিমকে শুক্রবার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এ মামলায় বংশীপুরের ইউসুফ গাজী ও জমাত গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত ঃ শ্যামনগর উপজেলার কদমতলা গ্রামের বখাটে তরুণ পল্লব মন্ডল একই উপজেলার ফুলতলা গ্রামের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী মেয়েকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। এর প্রতিবাদ করায় গত ১৩ এপ্রিল বখাটে পল্লব এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আকবর আলী পাড়ের নেতৃতে ১০/১২টি মোটরসাইকেল ও পিক-আপে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়।