
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর: মদ পাচারকালে শ্যামনগরের কৈখালীর সোহরাব ভারতে আটক হয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানাগেছে যে, গত ৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত ১১ টার দিকে শমশেরনগরের বিএসএফ শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালী গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে সোহরাব গাজীকে আটক করে তার কাছ থেকে ৪৮ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে। পরবর্তীতে সোহরাবকে বিএসএফ ভারতের পশ্চিম বঙ্গ হেমনগর কোষ্টাল থানায় হস্তান্তর করে। এদিকে তথ্য নিয়ে জানাগেছে, একই এলাকার সামছুদ্দীন গাজীর ছেলে আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে সোলাইমান গাজীর ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে (ডিম রহিম), করিম বক্স গাজীর ছেলে রুবেল ও সোহরাব সহ কয়েকজন গত দূর্গাপূজার সময় ভারতে বৈধ পাসপোর্টের মাধ্যমে প্রবেশ করে। ভারতের শমশেরনগরে একটি বাড়িতে মদগুলো রেখে আসে। পরবর্তীতে বৈধ পাসপোর্ট দেশে ফিরে ৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত ১১ টার দিকে কৈখালী সীমান্ত দিয়ে নদী সাঁতরে ডিম রহিম, রুবেল, সোহরাব ও জয়াখালী গ্রামের নূর ইসলাম মেম্বারের ভাগ্নে অবৈধভাবে ভারতে প্রশের জন্য শমশেরনগরে পৌঁছায়। জয়াখালী গ্রামের নূর ইসলাম মেম্বারের ভাগ্নেকে দাঁড় করিয়ে রাখে এবং ডিম রহিম ও রুবেলের কাছে মদগুলো নদীতে নামিয়ে দিয়ে তাকে সরদার বাড়ির ট্রলারঘাট পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সোহরাব। আগে থেকে রাখা বাড়ি থেকে মদ নিয়ে নদীতে নামার সময় শমশেরনগরের বিএসএফ সোহরাব ও জয়াখালী গ্রামের নূর ইসলাম মেম্বারের ভাগ্নেকে মদ সহ আটক করে এবং ডিম রহিম ও রুবেল নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে যে, ডিম রহিম ও রুবেল সহ জড়িতরা সকালে লতিফের বাড়ীতে বসাবসির মাধ্যমে বৈধপথে পাসপোর্টের মাধ্যমে সোহরাবকে জামিনে ছাড়িয়ে নেওয়ার প্রস্তুত চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চল্যসৃষ্টি হয়েছে। ডিম রহিম ও রুবেলকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং বাড়ি থেকে মোবাইল নাম্বারও গোপন রাখার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে লতিফের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি অস্বীকার করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।