নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুরে মো: আবুল হোসেন মোল্যা (৮০) নামের এক ভিক্ষুকের বাড়ি অবৈধভাবে দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী ভিক্ষুক ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের খাগড়াঘাট গাইনপাড়া গ্রামের মৃত ভাদ্র মোল্যার পুত্র। তিনি প্রতিকার চেয়ে শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ ভিক্ষুক হোসেন মোল্যা বিভিন্ন বাজরে ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনরকমে দিনাতিপাত করে আসছে। ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের খাগড়াঘাট মৌজায় ৮১ নং খতিয়ানের ৫২৮ দাগে স্থানীয় প্রতিবেশী আব্দুস সালামের নিকট থেকে ৫৩৯৬ নং দলিলে রেজিস্ট্রি কোবলা মূলে ৫ শতক জমি ক্রয়সূত্রে দীর্ঘদিন বসতবাড়ি করে ভোগদখল করছেন।
ওই জমিতে কুনজর পড়ে প্রতিবেশী আবাদ চন্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক মৃত আহম্মাদ আলীর পুত্র মো: মোশারাফ সরদারের। শিক্ষক মোশারাফ সরদার কৌশলে তার ভ্রাতৃষ্পুত্র মিজানুর রহমানকে (৩৬) লেলিয়ে দেয় ভিক্ষকের ঐ জমি দখল করতে। তারা ঐ জমিতে অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় ভিক্ষুক পরিবারের উপর নির্যাতন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) মিজানুর রহমান হোসেন মোল্যার বসতভিটায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে হোসেন মোল্যার ঘরের চারটি খুটি উপড়ে ফেলে দেয়, সীমানার ঘেরা উপড়িয়ে ফেলে এবং এ্যালবেস্টোরের ঘরের চাল ভাংচুর করে। হোসেন মোল্যা ও তার স্ত্রী বাধা দিলে তাদেরকে বেদম মারপিট করে বলে স্থানীয়রা জানায়। এ ঘটনায় হোসেন মোল্যার স্ত্রী মাজেদা বেগম আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো: আব্দুল কাদের ও মো: সিরাজুল মোল্যা বলেন, মিজানুর রহমানের নের্তৃত্বে একদল স্বশস্ত্র গুন্ডা আবুল হোসেনের বাড়িতে আক্রমন করে তারা আবুল হোসেনর বাড়িতে ভাংচুর চালায় এবং আবুল হোসেন ও তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে।
মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো: রেজাউল ইসলাম বলেন, “আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করি। বিরোধীয় জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। আমরা এজাহার পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো”।
এঘনায় জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।