
জিয়াউর রহমান শ্যামনগর থেকেঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ভাসুরের বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর ভাসুর কর্তৃক হামলা হওয়ায় প্রতিকার চেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী সংবাদসম্মেল করেছেন। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে উপস্থিত হয়ে উপজেলার ভূরুলিয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল হান্নানের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আমার ভাসুর মোঃ আবুল বাসার (৪৫), পিং- মৃত বাহার আলী গাজী, সাং- দেউলিয়া (গাজীপাড়া), ডাকঘর- ভূরুলিয়া, থানা- শ্যামনগর, জেলা- সাতক্ষীরা। সে এলাকার চিহ্নিত লম্পট, নারী লোভী, নারী নির্যাতনকারী, পরসম্পদ লোভী, দাঙ্গাবাজ, আইন অমান্যকারী, চোখলখোর সহ বিভিন্ন অপরাধ জগতের খলনায়ক হইতেছে। ভাসুরের পুত্র ইয়াছিন (২৩) ভাসুরের এহেন কর্মকান্ডের ইন্ধনদাতা ও সমর্থকারী হইতেছে। আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমার ছোট ছোট ২টা সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছি। আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় আমার ভাসুর মোঃ আবুল বাসার আমাকে একাকী পাইয়া সরলতার সুযোগে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন সহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি তাহার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে স্বামীর বাড়ী থেকে বিতাড়িত করার জন্য হুমকি দিয়ে বলে যে, তোর মানসম্মান নষ্ট করব, তোর জায়গা জমি দখল করব, তোর সন্তানদের মেরে লাশ গুম করে দিব, তোর ঘর বাড়ি উচ্ছেদ করব, বসত বাড়ির কোন ফসল তোকে দিব না। সেই হতে আমি তাহাকে এড়িয়ে চলি এবং এক প্রকার ভীতিস্তবোধ করে চলি। গত ০২/০৯/২০২৫ তারিখ রাত্র আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় সে আমার ঘরের বেড়া ভেঙ্গে আমার ঘরের মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে। আমি ঘুমান্ত থাকাবস্থায় আমাকে খাটের উপর জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় আমি বুঝতে পেরে তাহার সহিত ধস্তাধস্তি ও আমি চিৎকার করিলে সে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘরের মধ্যে ডিম্প লাইট থাকায় আমি তাহাকে দেখে চিনতে পারি। এসময় আমার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আমার ভাসুরের এহেন কর্মকান্ড দেখেছে ও শুনেছে এবং তাহারা ভাঙ্গা বেড়া মেরামত করে দিয়ে যায়। আমি বিষয়টি আমার স্বামীকে অবগত করিলে আমার ভাসুর ও ভাসুরের ছেলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মুখে এসিড নিক্ষেপ করবে ও আমার সন্তানদের মেরে লাশ গুম করবে, জান মালের ক্ষয়-ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে হুমিক দেয়।
এবিষয় নিয়ে কোন মামলা মোকদ্দমা করিলে আমার ভিটামাটি ছাড়া করবে, বসত ঘরে আগুন দিবে বলেও হুমকি দেয়। এমবস্থায় আমি বিষয়টি নিয়ে অত্র এলাকার মেম্বর ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে তাহারা বলে যে, বিবাদী খুব খারাপ প্রকৃতির ও অসামাজিক লোক তাহার বিচার করা আর না করা সমান কথা। এজন্য তাহার আমাকে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে বললে আমি গত ০৪/০৯/২০২৫ তারিখ শ্যামনগর থানায় ভাসুর ও ভাসুরের ছেলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়ের করার পর তাহারা আমার বাড়ির উপর আসিয়া আমাকে পূর্বের ন্যায় আমাকে উদ্দেশ্য করিয়া অকশ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ হুমকি দিয়ে বলে যে, তুই থানায় অভিযোগ দিয়ে আমাদের কি বাল করবি। তুই থানা থেকে অভিযোগ তুলে না নিলে তোর ষোল আনা পূর্ণ করে দিব। আমি তাহাদের কথার প্রতিবাদ করলে তাহারা আমাকে মারতে উদ্যৎ হয়।
আমি ২টি ছোট সন্তান নিয়ে একাকী স্বামী গৃহে বসবাস করি। আমার ভাসুর ও ভাসুরের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা যে কোন সময় আমার উপর তাহাদের আগ্রসী থাবা বসাতে পরে। আমি তাহাদের ভয়ে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগিতেছি। এমতাবস্থায় আমি আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছি। যাহাতে আমি সন্তান ২টি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্বামীগৃহে বসবাস করতে পারি।