জি, এম, নজরুল ইসলাম (শ্যামনগর) মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শ্যামনগর উপজেলায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে। কোন প্রতিকার নেই ।স্কুলগামী বাচ্ছারা আতঙ্কের মধ্যেদিয়ে স্কুলে যাচ্ছে,যার কারনে গ্রাম অঞ্চলের অভিভাবকরা বাচ্ছাদের স্কুল যাওয়া নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে। কুকুরের ভয়ে কেউ কেউ স্কুল ছাড়ছে।যার তার কুকুরে কামড় দিচ্ছে, রাস্তাপার হওয়ার সময় হঠাৎ কুকুরের দল মটর সাইকেল চালকের সামনে পড়ে তাল মেরে একসিডেন্ট করছে। এতে করে অনেকে পঙ্গু হয়ে পড়ছে,আবার কেউ বা মারা যাচ্ছে। ১৮/১১/১৯ তাং সোমবার এক বাকপ্রতিবন্ধী (৪২)কুকুেরর তাড়া খেয়ে পালাতে না পেরে কামড় খেতে হয়েছে কুলতলী ঘানি মোড়ে। মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে কুকুরে সংখ্য দিন দিন এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিপদ সিমা অতিক্রম করছে। যে সব গ্রামে কুকুরের উপদ্র বেড়েছে, ধানখালী, কদমতলা, জেলেখালি, কচুখালী, কুলতলী, ভেটখালী, সুন্দরবন, কাচি হারা, গাভা গ্রাম, যতীন্দ্রনগর সহ অনেক গ্রামের মানুষ কুকুরের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।এদিকে কুলতলী গ্রামের ওয়াজেদ গাজী, হাকিম গাজী, শফিকুল গাজী জানান কয়েকটি ছাগলের কুকুর কামড় দিয়ে মেরে ফেলেছে, আর বাচ্ছারাতো স্কুল যেতে ভয় পাচ্ছে, কার কাছে গেলে প্রতিকার পাবে? কুলতলীর মহাসিন জানান ১৫৩ নং সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা স্কুল যেতে ভয় পাচ্ছে ,কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করবো বেওয়ারিশ কুকুর গুলো মেরে ফেলা হোক।
এ বিষয় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কাশেম মড়োলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কুকুরের সংখ্য এতই বেড়েছে তার বলার উপায় নাই। গ্রামের লোক সবাই সম্মিলিতভাবে কুকুর নিধন অভিযান চালাতে হবে। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টি জানাবো।
পল্লী ডাক্তার দিলীপ রাজ জানান তার গ্রামে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি সরকারী ভাবে উদ্যাগ নিয়ে কুকুর নিধন করা হক নইলে কুকুরের কারনে অনেক প্রান ঝরে যেতে পারে।