জামিনুর রহমান, শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে প্রশিক্ষণের প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চূনা নদীতে পড়ে চালক দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের শওকতনগর এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রাইভেটকার চালক আরাফাত মোল্লা (২০) ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী গ্রামের নুরুল হক মোল্লার ছেলে ও আরাফাত হোসেনের ভগ্নিপতি ইব্রাহিম হোসেন (২২)। তিনি শহরের কামালনগর এলাকার বাবু খানের ছেলে।
আহতরা হলেন, একই গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে হাসান (২৩), আবুল বাশারের ছেলে সাইফুল্লাহ (২৪), নূর হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম।
আহতদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বিকেলে খেলাধূলা শেষে আরাফাত মোল্লা নিজেদের প্রাইভেটকারে ভগ্নিপতি ও বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হন। পথিমধ্যে শওকতনগরে প্রাইভেটকারটি গুমানতলী প্রাইমারি স্কুলের সামনে ঘুরাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের চুনা নদীতে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চালক আরাফাত মোল্লার মৃত্যু হয়।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই আরাফাত মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত চারজনের মধ্যে হাসান ও ইব্রাহিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুব্রত রায় জানান, হাসান নামের একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি অপরজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে মারা গেছেন। উত্তেজিত পরিবারের সদস্যরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আমরা দেখার সুযোগ পাইনি।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ঘটনাস্থলে চালক আরাফাত হোসেন মারা গেছেন। এরপর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে ইব্রাহিম হোসেন মারা গেছেন বলে জেনেছি। এছাড়া শ্যামনগর হাসপাতালে দুইজন ও একজন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।