আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মোঃ নৈজুদ্দীন সরদার ছেলে হাফেজ মিজানুর রহমানের বাড়িতে রাতের আঁধারে গলায় অস্ত্র ধরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। এঘটনায় হাফেজ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার ১২ জুলাই শ্যামনগর থানার আভিযোগ করে। অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, বাদী একজন মালদ্বীপ প্রবাসি। সরকারীভাবে ২০০৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপে কর্মরত ছিলো। বাদী করোনার সময়ে ছুটিতে বাড়ীতে ফিরে আসি। কোভিড-১৯ লক ডাউন হওয়ার কারনে আর যাওয়া সম্ভব হয় হয়নি। এমতাবস্থায় জীবন জীবিকা করার জন্য বাদী প্রবাসি কল্যাণ ব্যাংক থেকে ৩ লক্ষ টাকা লোন উত্তোলন করে। গত ৬ জুলাই বাদী তার স্ত্রীকে সুচিকিৎসার জন্য বাদী খুলনাতে অবস্থান করে। বাদীর বাড়ীতে তার বৃদ্ধ মাতা সহ প্রতিবন্ধি ভাইপো মোঃ মাসুদ রানা (৭) বাদীর বসত ঘরে ও বাড়ীতে রেখে যায়। সেই সুযোগে গত ১২ জুলাই আনুমানিক ২.৩০ মিনিটে অজ্ঞাত নামা কে বা কাহারা ১২/১৪ জন একটি সংঘবদ্ধ দল ধারালো অস্ত্রপাতি নিয়ে ডাকাত ছদ্দবেছে লোহার সাবল ও রড দ্বারাসহ দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া তালা ও দরজা ভাঙ্গিয়া বাদীর ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। বাদীর মাতা হাসিনা বেগমকে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে বাদীর মাতা মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন বাদীর মাতা কোন ডাক চিৎকার করিতে সাহস পায় নাই। বাদীর মাতা প্রাণ বাঁচানোর ত্যাগিদে পার্শ্ববর্তী ঘরে নিশ্চুপ ছিল। সেই সুযোগে বাদীর ঘরের মধ্যে রক্ষিত নগদ ২ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, ২ ইঞ্চি মোটর, পাসপোর্টসহ জমির প্রয়োজনীয় দলিলপত্র ইত্যাদি প্রয়োজনীয় মূল্যবান জিনিসপত্র, মালামাল নিয়ে যায়। বাদীর মাতাসহ পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ জানিতে বাদী খুলনা থেকে বাড়ীতে আসে।এসে ঘটনা বিস্তারিত শোনা বোঝা করে অভিযোগ দায়ের করে। এবিষয়ে শ্যামনগর অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম আজাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি আমার পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।