সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরে মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অসহায় ভূমিহীনদের মাঝে ৫শ ৫৩টি ঘর প্রদান করা হয়। প্রতিটি ঘর খাস জমিসহ প্রদান করা হয়েছে। তিন ধাপে পর্যায়ক্রমে এই ৫শ ৫৩ টি ঘর প্রদান করা হয়। ঘরের তালিকা তৈরি করেছেন শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের তহশীলদাররা। এই তালিকা তৈরিতে তহশীলদাররা উপকারভোগীদের কাছ থেকে প্রতি ঘরে ৪০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে তালিকা চুড়ান্ত করে ঘর প্রদান করেছে। ৫৫৩ টি ঘরের একটিও বিনা টাকায় পায়নি উপকারভোগীরা। এই টাকার ভাগ উপজেলার বড় রাঘববোয়ালরা পকেটে ভরেছে বলে বিভিন্ন নির্ভরশীল সুত্রে জানা গেেেছ। যা বাড়ী বাড়ী তদন্ত করে এখন সব রহস্য বেরিয়ে আসছে। তাছাড়া ৫৫৩টি ঘরের মধ্যে ৭৫% ঘর পেয়েছে জামাত বিএনপির অনুসারীরা। বঞ্চিত হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রকৃত ভূমিহীনরা। জামাত বিএনপির লোক যারা ঘর পেয়েছে এখন তারাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে বসে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ একটি অভিযোগ দায়ের করলে নড়ে বসেছে দুদক। ইতিমধ্যে তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে দুদক। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন বিষয়টি সবে শুনলাম। তদন্ত করছি, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্যামনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে লেগেছে ৪০-৭০ হাজার টাকা
পূর্ববর্তী পোস্ট