
শ্যামনগর প্রতিবেদকঃ শ্যামনগর উপজেলা ভূরুলিয়া ইউনিয়নের মধুসূদনপুর গ্রামের মুনসুর আলী মল্লিকের পুত্র আব্দুল গফফার মল্লিক এর বিরুদ্ধে পানি নিস্কাশনের খাল প্রসাশন কে ভুল বুঝিয়ে বন্দোবস্ত নেয়ার বিরুদ্ধে এবং দ্রুত বন্দোবস্ত বাতির পুর্বক জনস্বার্থে খালটি উম্মুক্ত করার দাবীতে ওই এলাকার ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হোসেন আলী সহ গ্রামবাসীরা শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনে ভূরুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন আলী সহ গ্রামবাসীরা বলেন খাষ খালের উপর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টি কর হচ্ছে, প্রসাশন ভুল বুঝিয়ে উক্ত গফফার নিজের নামে বন্দোবস্ত নিয়েছে,সে কারনে খাল বাথ দিয়ে পানি নিস্কাশনে বাধা প্রদান করায় ওই শত শত বিঘা জমিতে কৃষকরা ধান চাষ করতে পারে না,বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক জলবদ্ধতার মধ্যে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের, এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তারা জানান। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, উপজেলা মধুসুদনপুর মৌজার মধুসুদনপুর জলমাহল খাল খাষ থাকায় তাহা কৃর্তপক্ষকে ভুল বুঝাইয়া বন্দোবস্ত নিয়ে খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করিয়া লবন পানি উত্তোল করে মাছ চাষ করে আসছে। খালের উপর বাঁধ নির্মাণের ফলে এলাকায় লবন পানির প্রভাব পড়ছে এবং বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় ধান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে ও ফসলী জমিতে লবন পানি প্রবেশে ফসল নষ্ট হচ্ছে। মধুসুদনপুর খালে বেঁড়িবাঁধের কারনে এলাকায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে এবং মাটির উর্বর ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। অত্র এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জমির মালিক পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে এবং বাঁধের দুইপাশে ঘেড়া বেড়া দেওয়ার কারনে কোন গবাদি পশু বিলে ঘাষ খেতে নামতে পারছে না। ইতিমধ্যে প্রসাশনের ক্ছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্বারক লিপি সহ অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত আব্দুল গফফার মল্লিক এর নামে বন্দোবস্তকৃত খালটির বন্দোবস্ত বাতিল করে খালটি উন্মুক্ত করার।সে জন্য তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।