সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে ঘূর্নিঝড় বুলবুল-এর কারণে ভারি বর্ষনে প্লাবিত হওয়া পানি নিষ্কাসণের বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে পাউবোর স্লুইচ গেট। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়ন পাউবোর ভেড়িবাধ এলাকার আওতাধিন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, এই ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইজ গেট ঝুকি পূূর্ণ। কোনটায় ফাটল ধরেছে, কোনটায় পাটা নেই। আবার কোনটায় ফলবেট নেই। নানা কারণে জরজরিত হয়ে পড়েছে বৃটিশ আমলের নির্মিত এই স্লুইজ গেট গুলো। ঘূর্নিঝড় বুলবুল-এর পানির চাপে হিমসিম খাচ্ছে এই সমস্ত স্লুইজ গেজ গুলো। পাউবোর কর্মকর্তাদের কথা অনুযায়ী এক্ষুনে মেরামত বা নতুন স্লুইজ গেট তৈরির কোন সম্ভাবনা নেই। ঝুঁকিপূর্ণ ও দ্বীপ ইউনিয়ন নামে পরিচিত গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মাসুদুল আলম জানান, তার ইউনিয়নে ৫টি স্লুইজগেট। সব কটি স্লুইজ গেট ঝুঁকিপূর্ণ। কোনটা ফাটল ধরেছে, কোনটা পাটা নেই। আবার কোনটার ফলপেট নেই। ঘূর্নিঝড়ের প্লাবিত পানি নিষ্কাসনে খুব ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যড: আতাউর রহমান জানান, তার ইউনিয়নের ৩টি স্লইজগেটের মধ্যে গড় কুমার পুর ও ঝাঁপা এই দুটি স্লুইজগেটের অবস্থা খুবই খারাপ। আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আবু সালেহ জানান, তার ইউনিয়নে ৩টি স্লুইজ গেট ঝুঁকিপূর্ণ। তার মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ নওয়াবেঁকী বাজার স্লইজ গেট। কাঁশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আব্দুর রউফ জানান, তার ইউনিয়নের ২টি স্লইজগেটের মধ্যে ঝাপালী স্লুইজ গেটটি মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ। যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। কৈখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, তার ইউনিয়নে ৩টি স্লুইজগেট ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পরাণপুর ও নিদয়া স্লুইজ গেট। নূরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা জানান, নূর নগর ইউনিয়নের পাউবোর ২টি স্লুইজগেট মারাত্মক ঝুঁকি পূর্ণ। শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্পেশাল পিপি এ্যডঃ জহুরুল হায়দার জানান, তার ইউনিয়নের ১টি স্লুইজ গেট চিংড়ীখালী, সেটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আবুল কাশেম মোড়ল জানান, তার ইউনিয়নে পাউবোর ৫টি স্লুইজগেট তার মধ্যে তিনটির অবস্থা মারাত্মক খারাপ। সে তিনটি হলো- হরিনগর বাজার, ছোটভেটখালী ও বড়ভেটখালী স্লুইজগেট। বিশেষ করে বড়ভেটখালী স্লুইজ গেট একেবারেই অকেজো হয়ে পড়েছে। এব্যপারে কথা হয়, সাতক্ষীরা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়েরের সাথে । তিনি জানান, সাতক্ষীরার পাউবো পত্তর বিভাগ(১) ও পত্তর বিভাগ (২) এর আওতাধিন সকল ভেড়ীবাঁধ ও জ্বরাজীর্ণ স্লুইজগেট মেরামতের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট অনুমোদনের জন্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমার বিশ্বাস দ্রুতই এর সুফল মিলবে।