আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের নাম ধারী কর্মচারী উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের শংকরকাটি গ্রামের মো. জয়নাল আবেদিনের ছেলে মো. নুর মোহাম্মদ বাবু'র অত্যাচার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী, থানায় অভিযোগ। এঘটনায় একই গ্রামের মোসলেম উদ্দীনর স্ত্রী মোছা. মৌসুমি পারভীন বাদী হয়ে নুর মোহাম্মদ বাবুকে বিবাদী করে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, বাবু প্রতারক চক্রের মূল হোতা এবং বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী মর্মে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এলাকার সর্ব সাধারণের নিকট থেকে প্রতারনা আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেই। হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে উঠেছে। বাবু একই এলাকায় এবং পাশাপাশি বসবাস করে। পূর্ব হতে বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে বাবু আমার সাথে চরমভাবে শত্রুতা পোষন করে। তাছাড়া বাবু প্রায় সময় আমাকে হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ করার জন বিভিন্নভাবে পায়তারা করে আসতে। গত ২১ জুন দুপুর বেলা বাবুর বাচ্চা রাহাত (৮) ও আমার বাচ্চা মুরসালিন (৮) একসাথে খেলাধুলা কালে তাদের মধ্যে খেলাচ্ছলে গোলযোগ হলে তারা যে যার বাসায় চলে যায়। বাচ্চাদের উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বাবু স্ত্রী রহিমা খাতুন আমার সাথে কথাকাটি করে। সেই আক্রোশে বাবু বাড়ীতে ফিরে এসে হঠাৎ করে বেলা অনুমান ২.২০ মিনিটে বাবু বাড়ী সংলগ্ন বিদ্যুৎ লাইনের পোল থেকে আমার বাড়ীর বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে সাথে সাথে বাবুর অন্যায় কাজে প্রতিবাদ জানালে বাবু আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের কে গালি গালাজ করা সহ বিভিন্ন অপরাধজনক হুমকি ধামকি প্রদান করে। এলাকার সর্ব সাধারণরা বাবুর অন্যায় কাজে প্রতিবাদ করতে সে তাদেরও বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিবে বলে হুমকি ধামকি দেই। কেউ তার অন্যায় কাজে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে আমার স্বামী মো. মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে মো. নুর মোহাম্মদ বাবুকে বিবাদী করে শ্যামনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে অভিযোগ করে। অফিসের ডিজিএম বলেন বাবু অফিসের কেউ না। এবিষয়ে নুর মোহাম্মদ বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বড় মামা ইব্রাহিম তার বিল্ডিং এর ছাদের উপর দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের তারটি ছিল। আমার মামা ছাদের উপরে কাজ করছিল অসাবধানতাবশত বাড়ির সংযুক্তি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করিলেন তাৎক্ষণিক অফিস থেকে লোক এসে লাইন টি চালু করে দেয়। আর আমি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করি। আমি অফিসের কেউ না। সেই সুবাদে আমার গ্রামের লোকজন আমার কাছ থেকে কাজ করে নাই।