নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ স‚ত্র জানাগেছে যে, সুন্দরবন গ্রাম মফিজউদ্দীর ছেলে সালাম তরফদার গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখ দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে মৎস্যঘেরীতে কাজ করছিলো। এমন সময় প‚র্বপরিকল্পিত ভাবে ওঁৎ পেতে থাকা একুই এলাকার কপিলউদ্দীন মিস্ত্রীর ছেলে আবু হামজার ও তার দুই ছেলে হাবিবুর এবং শাহিনুর সালাম তরফদারকে বেদম মারপিট করে।
পরবর্তীতে তাকে নিয়ে হামজারের বসত ঘরে আটকে রাখে এবং হাকচিৎকার করে বলে আমার স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে শ্লীলতাহানি করছে। অন্যদিকে মামা সালাম তরফদারকে মারপিট এবং ঘরে অন্যায় ভাবে রাখার কারনে সাবেক মহিলা ইউপি সদস্যা সেলিনা সাইদ ৯৯৯ নাম্বারে কল করে সহযোগীতা চান। ঘটনাস্থালে শ্যামনগর থানা পুলিশ হাজির হয়ে সালাম ও হামজারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। ঐদিন রাত ১০ টার সময় শ্যামনগর থানায় হামজার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন নিজ বাদী হয়ে ১ জনকে আসামি করে সালামের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দ্বায়ের করেন। যার মামলা নং-০৭। এবং ধৃত আসামি সালামকে সাতক্ষীরা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জাহেদা নামের একজন বৃদ্ধা বলেন, আমি দেখি সালাম হেঁটে যাচ্ছে এবং কিছু সময় ধরে তার মৎস্যঘেরীতে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে কথা বলছে এমন সময় হামজার ও তার দুই ছেলে হাবিবুর এবং হাফিজুর তাকে হঠাৎ মারপিট শুরু করে। মারপিটের এক পর্যায়ে তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং আমি বিষয়টি বুঝতে না পেরে সালামের বাড়িতে সংবাদ দেই।
সালামের মৎস্যঘেরীতে মুজুরীতে কাজের লোক নুরইসলাম এবং তার স্ত্রী জানান, সালাম এসে আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে থাকে। এমন সময় হামজা ও তার দুই ছেলে হাবিবুর এবং হাফিজুর তাকে হঠাৎ মারপিট শুরু করে এবং তাকে ধরে নিয়ে যায়।
সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে যে, হামজারের ভিটার পাশে হাচিনা নামক একজন মহিলা বসবাস করত। তার জমিটি দখলের পায়তারা করলে সালাম তরফদার এলাকার একজন স্বচ্ছ রাজনৈতিক মানুষ হিসেবে হাচিনার জমি বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিত। তারই প্রেক্ষিতে গত, সপ্তাহ তিনেক আগে হাসিনা হামজা সহ তার ছেলেদের নামে মামলা করেছিল। তারই জের ধরে এই সাজানো নাটক তৈরী করেন হামজা। হামজারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ ছিলো। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এলাকাবাসীরা গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছিল।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করেছেন। তদন্ত করে বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আর আসামি পক্ষ যদি এ ঘটনায় আহত হয়ে থাকে তবে অভিযোগ করলে অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।