
মোঃ আমজাদ হোসেন মিঠু, শ্যামনগরঃ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর তীরে অবস্থিত নওয়াবেকি বাজার। জেলা প্রসাশক (ডিসি) মহাদ্বয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে স্থানীয় তহশীলদার অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ব্যাপারে এখন শীর্যে রয়েছে। জেলা প্রসাশক এস এম মোস্তফা কামাল গ্রীন সাতক্ষীরা, ক্লিন সাতক্ষীরা, গড়ে তোলার লক্ষে দিনরাত আপ্রান কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি নিজের অফিস সহ অধীনস্ত অফিস গুলোতে দুনির্তী না করার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। এছাড়া তিনি সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন দুর প্রান্তে এ কার্য্যক্রম পৌছে দেওয়ার লক্ষে যখন প্রানপন কাজ করছেন, ঠিক তখনই ও তার আগে থেকে আটুলিয়া ইউনিয়ন তহশীলদার মোশরাফ হোসেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নওয়াবেকী বাজার ও বাজার সংলগ্ন পেরীফেরী ভুক্ত জায়গায় তত সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর চরে অবৈধ স্থাপনা তৈরীতে সর্বোচ্ছ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সরকারী নীতিমালায় রয়েছে পেরীফেরী ভুক্ত জায়গায় ছাদের পাকা ঘর নিমার্ন করা যাবে না। অথচ নওয়াবেকী বাজারে ছাদের ঘরতো দুরের কথা এখানে রাতারাতি বহুতল ভবন ও গড়ে উঠছে বহাল তবিয়্যাতে। এ সকল অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার পিছনে প্রকাশ্যে তহশীলদারের ভুমিকা অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে তহশীলদার অবৈধ স্থাপনা তৈরী কারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বরাবরই মত তিনি এখনও মাঠে রয়েছে। ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে অবৈধ স্থাপনার ছবি চিত্র স্ব-চোখে পড়বে। প্রসাশনের পক্ষ থেকে দুর্নিতী না করার জন্য এবং দুর্নিতী বাজদের রুখে দিতে সচেতনতা মুলক মাইকিং করে প্রকাশ্যে ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে। এ শব্দ সাধারন মানুষের কানে পৌছালেও এদের মত নায়েবদের কানে এ শব্দগুলো ঢুকছে বলে মনে হয় না। তবে সাধারন মানুষের দৃড় বিশ্বাস জেলা প্রসাশকের সর্বোচ্ছ চেষ্টা বৃথা যাবে না এবং এ চেষ্টার সাথে সাধারন সচেতন মহল সর্বদা সর্বাত্বক ভাবে সহযোগিতা করে যাবেন। জেলা প্রসাশক মহাদ্বয় ইতি মধ্যে শ্যামনগরে সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসাবে দ্বারিত্ব পালন করেছিলেন,সুতারং শ্যামনগর সম্পর্কে ওনার বিশেষ জানা আছে,এধরনের দুই, একজন অনিয়ম কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রসাশক মহাদ্বয় পিছুপা হবেন না বলে,শ্যামনগরের সচেতন মহল মনে করেন। এবং সেই বিশ্বাস নিয়ে শ্যামনগরে সচেতন মহল মানননীয় জেলা প্রসাশকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড় কুপট গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র, রবিউল ইসলাম বাজারসংলগ্ন নদীর চরে গড়ে তুলছেন মজবুত ইটের তৈরি পাকা ঘর, এখন পর্যন্ত ছাদ অবদি কাজ সম্পূর্ন ।অপর দিকে মৃত কেরামত আলীর পুত্র রুহুল আমিন মাঝি, বাজারের উপরেই খাসজমি দখল করে বসে আছেন, এবং ভবন তৈরীর জন্য ভিট পযর্ন্ত কাজ করে, সুযোগ-সন্ধানের অপেক্ষায় আছেন। প্রভাব বিস্তার করে পেশী শক্তির বলে নওয়াবেঁকী বাজার কমিটির সেক্রেটারি সৈয়দ কামাল, কাগজ পত্র ছাড়াই, বেশ কিছু চর দখল করে, পোল্ট্রি ফার্ম করে রেখেছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সৈয়দ কামাল এর সাথে অবৈধ ভাবে চর দখল নিয়ে কথা বললে, তিনি বলেন আমি ডি সি আর, এর কাগজ করার জন্য আবেদন করেছি, কিন্তু এখনো পাইনি। এ বাজারের রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের ডি সি আর আছে, কিন্তু স্থাপনা তৈরি করার জন্য কোন কাগজ নাই, প্রশ্ন উত্তরে তিনি বলেছিলেন এগুলো আমরা টাকা দিয়ে কর্মকর্তাদের মেনেজ করে, সুযোগ বুঝে করে কাজ করছি। এ ব্যাপারে ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনকে উল্লেখিত ঘটনা অবহিত করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, এবং প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছি। কিন্তু বাজারের অন্যান্য দোকানদাররা এবং স্থানীয়রা বলেন, এই চরদখল এবং পাকা স্থাপনা তৈরি নিয়ে নায়েবের কোনো মাথা ব্যথা নেই। কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে সান্ত্বনা দিয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন, বলেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন টাকার বিনিময় এই সমস্ত অবৈধ স্থাপনা এবং খাল দখলের সহযোগিতা করছেন। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ১০ নং ইউনিয়ন নওয়াবেঁকী বাজারের সর্বস্তরের জনগন।