আব্রাহাম লিংকন: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নুর মার্কেট হতে ডিজিএফআই শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি সার্জেন্ট আল মামুন এর তথ্যের ভিত্তিতে ভূয়া আপন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর পরিচালক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫) কে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে নিজেকে শ্যামনগর উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় দিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে ১৮ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রলোভন দিখিয়ে নিজের টাইপ করা একটি কাগজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এলাকায় প্রচার করে। এরই প্রেক্ষিতে ৪০ জন প্রার্থী ২০০ টাকার ফরমে আবেদন করেন এবং জামানত হিসাবে ৪০ হাজার টাকা করে জন প্রতি নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের কাছে প্রস্তাব করে কাজ করেন। ৪০ জন থেকে ৪০ হাজার টাকা করে প্রাথমিকভাবে মোট ১৬ লক্ষ টাকা কালেকশন করা প্লান করেন। তিনি কোন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেননি। নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার প্রশ্নপত্র সহ যাবতীয় সরঞ্জামসহ তাকে শ্যামনগরের আবাসিক হোটেল ম্যানগ্রোভ থেকে আটক করা হয়। সেই সাথে আপন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর পরিচালকের সাথে আরো স্থানীয় শ্যামনগর উপজেলার দুই জন প্রতারক প্রতারণার সাথে জড়িত রয়েছে। তারা হলেন ছোট কুপট এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে ফয়সাল বাদশা (৩২) এবং নওয়াবেকীর আবু হেনা মোস্তফা কামালের ছেলে জিএম সেলিম আহমেদ (৩৫)। উক্ত তিন প্রতারককে ডিজিএফআই সাতক্ষীরা উপ-শাখার নজরদারি মাধ্যমে সেনাবাহিনীর পাওখালি কালিগঞ্জ ক্যাম্পের মাধ্যমে আটক করা হয়। উল্লেখিত ব্যক্তিরা ১ বছর আগে শ্যামনগর উপজেলায় সোশ্যাল এন্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও পরিচালনা করে এলাকায় প্রতারনা করে মানুষের থেকে টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা উক্ত নাম পরিবর্তন করে আপন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে এনজিও খোলে এলাকায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার উদ্দেশ্য কাজ চলমান ছিল। শ্যামনগর উপজেলায় আপন বহুমুখী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর কোন অফিস বা কার্যক্রম নেই। উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কোন ছাড়পত্র বা নিবন্ধন নেই, উপজেলা প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই। কোন কার্যক্রম না থাকা সত্ত্বেও তারা নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ বানিজ্যের করার চেষ্টা করে।