নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার ইশ্বরিপুর গ্রামের মুনসুর গাজীর গত শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে শ্বাস কষ্ট শুরু তার বাসায় শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। সেই মুহূর্তে তার পরিবারের লোকজন তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যখন পৌঁছায় তখন বাজে বিকাল পাঁচটা। মুনসুর গাজীর প্রয়োজন পড়ে কৃত্রিম অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাস সচল রাখা। সাথে থাকা রোগীর লোকেরা দ্রুত অক্সিজেন দেওয়ার কথা বললে কর্তব্যরত ডাক্তার এস এম শাকির হোসেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ইমারজেন্সি ইনচার্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শ্যামনগর সাতক্ষীরা তাদের কে বলে দেন এখানে কোন অক্সিজেন নেই। তিন টা অক্সিজেনের স্যালেন্ডার ছিল তা গতকাল পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে। রোগী অবস্থা যখন খুব খারাপ হয়ে পড়ে তখন রোগীর ছেলে সানির চেঁচামেচি তে ডাক্তার শাকিরের কথা মত সেচ্ছাসেবক সন্দীপ একটা অক্সিজেনের স্যালেন্ডার নিয়ে আসে। তার একটু আগেই মুনসুর গাজী মারা যায়। ঐ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা প্রত্যক্ষ দর্শীরা বলেন, শুধু মাত্র ডাক্তার শাকিরের অবহেলার কারণে মুনসুর গাজীর মৃত্যু হয়েছে।এবিষয়ে মৃত্যু মুনসুর গাজীর ছেলে সানি এই প্রতিবেদককে জানান, আমার পিতার শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তার শাকির কে আমার পিতাকে বার বার অক্সিজেন দেওয়ার কথা বললে ও হাসপাতালে কোন অক্সিজেন নেই বলে আমাকে হাকিয়ে দেয় । আমি যখন পুরা ঘটনাটা ফেসবুকে লাইভ দেওয়া শুরু করি আর আমার পিতার অবস্থা যখন খুব খারাপ হয়ে পড়ে তখন একটা অক্সিজেনের স্যালেন্ডার আনা হয় ততক্ষনে আমার পিতা এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছে। শুধু মাত্র এই শাকির ভাক্তারের অবহেলায় আমার পিতা মারা গেছে আমি উদ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে এই ডাক্তার নামের নর পিশাচের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। এই বিষয়ে ডাক্তার শাকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুনসুর গাজীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তিনি পথিমধ্যে মারা যায়। আমাদের এখানে মুনসুর গাজীর পরিবার তার মৃত্যু দেহটা নিয়ে এসেছিল।