নিজস্ব প্রতিবেদক,শ্যামনগর : সাতক্ষীরারা-শ্যামনগরের ডজন-ডজন মামলার আসামী হুমায়ুন কবীর অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। আসামী গ্রেফতারকালে হুমায়ুনের ভাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা করা হলে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ৬নং রমজাননগর ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের হোসেন আলীর পুত্র হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হত্যার চেষ্টা, নাশকতা, খুন, ধর্ষণ, সরকারী খাদ্যগুদামের জায়গা দখল সহ প্রায় ৩ ডজন মামলা রয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মানিকখালী গ্রামের হালিমা বেগম বাদী হয়ে গত ০৮ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে হিুমায়ুনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী, খুন ও দেড় লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলা করে, যার নং-২২।
মুক্তযোদ্ধা পরিবার ও সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে,যার মামলা নং-০৫/০৫-২০২০। পুলিশের নামে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা রয়েছে, যার নং-৩২/০৫-২০২০। উক্ত মামলা সহ তার নামে চলমান ৫টা মামলার মধ্যে তিনটি মামলা পেন্ডিং এবং ২টি মামলা আসামী হওয়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানা পুলিশের এসআই আনুউদ্দীন, এসআই আব্দুর রাজ্জাক, এসআই নূর কামাল, এএস আই বিল্লাল হোসেন ও একজন কনেষ্টেবল আজ ২ই জুন ২০২০ মঙ্গলবার তাকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে।
এসআই আইনুদ্দীন জানান, আমরা ৬জন পুলিশ সদস্য হুমায়ুনের বাড়ীতে গিয়ে গ্রেফতারকালে হুমায়ুনের ছোট ভাই হায়দার এর নেতৃত্বে তার পিতা, মাতা, স্ত্রী সহ তার নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীরা পুলিশের উপর হামলা করে। হামলঅয় ৫ পুলিশ সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদেও মধ্যে ৪ জন পুলিশ সদস্য সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়া এসআই আ: রাজ্জাক গুরুতর অসুস্থ হওয়া শ্যামনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এসআই আ: রাজ্জাক বলেন, গ্রেফতারকালে পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে হুমায়ুন তার বাড়ীর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালানোর সময়ে পায়ে হালকা জখম হয়। তাকে আগামীকাল সাতক্ষীরা জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ¦ নাজমুল হুদা হুমায়ুনের গ্রেফতারে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগামীকাল তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
তবে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে, আটক হুমায়ুন গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে ছিল।