মোঃ আমজাদ হোসেন মিঠু, শ্যামনগরঃ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বুড়িগোয়ালিনী গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মিষ্টি পানির আঁধার সংরক্ষণে শ্যামনগর সহকারি কমিশনার ভূমি বরাবর আবেদন করেছে এলাকাবাসী।রবিবার (২৪নভেম্বর) এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নিশিকান্ত মাঝি, নিখিল চন্দ্র মন্ডল, আবুল আলি সহ আরো অনেকে জেলা পরিষদের পুকুরে পাশ্ববর্তী ঘের মালিক খাস জমিতে অবৈধ পন্থায় ঘের পরিচালনা করার বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। তারা তাদের লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন যে, বুড়িগোযালিনী গ্রামে সুপ্রাচীন কালের একটি বড় সুপেয় পানির পুকুর রয়েছে। এই পুকুরের পানি বুড়িগোয়ালিনী, মাগুরাকুনি, পানখালী, কলবাড়ী, মাঝের আটি সহ অনেকগুলো গ্রামের মানুষেরা সুপেয় পানি হিসেবে ব্যবহার করে। সম্প্রতি জেলা পরিষদ সাতক্ষীরা এর আর্থিক সহযোগিতায় পুকুরটি পুন;খনন করা হয়। কিন্তু পুকুর সংলগ্ন ওয়াপদা বাঁধের অপর পাশে চুনা নদীর চরের বদ্ধ চিংড়ী ঘেরের লবন পানি প্রবেশের মাধ্যমে পানিতে লবনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে বর্তমানে এই পানির ব্যবহার সম্পূন অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এলাকায় সুপেয় পানির একমাত্র উৎস্য বিনষ্ট হওয়াতে স্থানীয় মানুষেরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। এমতবস্তায় পুকুর সংলগ্ন নদীর চরের বদ্ধ ঘের উন্মুক্ত করে ৫টি গ্রামের মানুষের একমাত্র সুপেয় পানির পুকুরটি সুরক্ষার জন্য তারা আবেদন জানান। এসময় তাৎক্ষনিক সহকারি কমিশনার ভূমি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কারীকে ঘটনা স্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভূমি সহকারি ঘটনা স্থলে গিয়ে সত্যতা পান এবং সহকারি কমিশনার ভূমিকে অবহিত করেন। সহকারি কমিশনার ভূমি এস এম নাহিদ হাসান বলেন, মিষ্টি পানির আঁধার সংরক্ষণে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য ডালিম কুমার ঘোরামী বলেন, জেলা পরিষদের পুকুরটি জেরা পরিষদের এবং সেটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে খনন করা হয়েছে।পুকুরটি এলাকার মানুষের জন্য মিষ্টি পানির আঁধার হিসেবে থাকলেও বর্তমানে লোনা পানি ঢুকে তা লবন পানির আঁধারে পরিনত হয়েছে।