সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর ব্যুরো: ৯ নভেম্বর বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়া সরণকালের প্রলয়ংকারী ঘূর্নিঝড় বুলবুল-এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে শ্যামনগরে বে-সরকারি সংস্থা সুশীলনের মাধমে নগত অর্থ ও হাইজিন কিট বিতরণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবী, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা এই উপকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সুশীলনের দাবী, একটি ওয়ার্ডে একই ক্যাটাগরির ২শ পরিবার আছে কিন্তু, আমাদের সক্ষম আছে মাত্র ২৫-৩০ পরিবারকে সহযোগীতা করার। ২১ নভেম্বর সকাল ১১.০টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ, আটুলিয়া, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের ৯শ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ৪৫ লক্ষ টাকার নগত অর্থ ও হাইজিন বিতরণ করেন বে-সরকারি সংস্থা সুশীলন। এই ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে অর্থ যোগান দিয়েছেন দাতা সংস্থা ইংল্যান্ড। আর বাস্ত বায়ন করেছেন বেসরকারী সংস্থা সুশীলন। তাদের বিতরণের মধ্যে রয়েছে- নগদ ৪৫০০ টাকা এবং বাঁকি ৫ শত টাকার হাইজিন কিট। যার মধ্যে ২টি ন্যাপকিন, ৪টি সাবান, ১টি প্লাষ্টিক বলতি, ১টি স্যাভলন, ১টি কাপড় কাচা পাউডার ও একটি প্লাস্টিক মগ। এই অর্থ ও মালামাল বিতরণের সময় প্রতিটি ইউনিয়নে হৈ চৈ লক্ষ করা গেছে। ঘূর্নিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থরা তাৎক্ষনিক প্রক্রিয়ায় জানিয়েছেন, প্রকৃত ভূক্তভোগীদের নাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বাদ দিয়ে ভোটের আশায় স্বজনপ্রীতি করে যে তালিকা বেসরকারি সংস্থা সুশীলনের কাছে তুলে দিয়েছে সুশীলন সেই তালিকা অনুযায়ী নগদ টাকা ও মালামাল বিতরণ করেছে। এমনটি বলছিলেন মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সিংহড়তলী গ্রামের বিশ্বজীত রায়ের পুত্র উদিত রায়। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, তার বাড়ীর বসতঘরসহ প্রায় সবকটি ঘর ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তাকে আজ পর্যন্ত এক টাকাও ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয়নি। এব্যপারারে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তাদের তৈরি করা কোন তালিকাই সুশীলন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করে তাদের ইচ্ছামতো তালিকা তৈরি করে নগদ অর্থ ও মালামাল বিতরণ করেছে। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আবুল কাশেম মোড়ল জানান, তার ইউনিয়ননে সুশীলন মাত্র ২২৮জন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগত ৪৫০০ টাকা ও ৫ শত টাকার হাইজিন কিট প্রদান করেছে। আমার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান অনুযায়ী সুশীলনের সহযোগীতার পরিমান খুবই কম। ক্ষতিগ্রস্থদের চাপে জবাব দেওয়া এবং পথে চলা খুব দুষ্কর হযে পড়েছে। সুশীলন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হলে তার একজন মাঠকর্মী সাজু আহমেদ জানান আমরা করোর করা তালিকায় অর্থ ও মালামাল বিতরণ করিনি। আমরা নিজেরা জরীপ করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের নির্নয় করে মালামাল ও টাকা বিতরণ করেছি। তবে ১টি ওয়ার্ডে একই ক্যাটাগরির ২০০ পরিবার রয়েছে। কিন্তু আমাদের সক্ষম মাত্র ২৫-৩০ পরিবারকে সহযোগীতা করার মত। সেকরণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও সুশীলন কর্তৃপক্ষের সাথে মত পার্থক্য হতে পারে। কিন্তু এর কোন ভিত্তি নেই। এটা অহেতুক একটি দাবী।