
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর প্রতিনিধি: সরকার বা খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধীদের ভরন-পোষণ লেখাপড়সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধায় এগিয়ে এসেছে এবং প্রধান মন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ে যখন সারা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঠিক তখনই শ্যামনগরে জন্ম হয়- ফাতেমা জগলু প্রতিবন্ধী স্কুল। সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস,এম জগলুল হায়দার ও তাঁর পত্নী ফাতেমা হায়দারের নামে নাম করণ করা হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। ফাতেমা জগলু প্রতিবন্ধী স্কুল এখন প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপক অংশ গ্রহনে মুখরিত হয়ে উঠছে। জানুয়ারী ১৮ হতে শ্যামনগরের প্রাণ কেন্দ্রে উপজেলা সদরে এই প্রতিবন্ধী স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছে। শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফাতেমা জগলু প্রতিবন্ধী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি সংখ্যা ছিলো ৩শ’র অধিক বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্ডল। সারা বছরই ভর্তি চলমান আছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হচ্ছে। শুরু থেকে স্কুলটির যাবতীয় ব্যয়-ভার বহন করে যাচ্ছেন স্কুল প্রতিষ্ঠাতা এমপি এস,এম জগলুল হায়দার ও তার পত্নী। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান সময় পেলেই ছুটে যান প্রতিবন্ধী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। তাদের খোঁজ খবর নেন এবং লেখা পড়া, শরীর চর্চায় মনযোগী হওয়ার কথা বলেন। স্কুলের যাত্রা শুরুর প্রধান শিক্ষক রাম কৃষ্ণ মন্ডলসহ ১৬ জন শিক্ষক কর্মচারী আছে। প্রধান শিক্ষক এই প্রতিবেদক-কে জানান, স্কুলটিতে ১ম শ্রেণি হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ দান চলমান রয়েছে এবং প্রতিবন্ধীদের শরীর চর্চা ও প্রয়োজনীয় ফিজিও থেরাপি দেওয়ারও ব্যবস্থা হয়েছে। মাছে মাঝে এমপি জগলুল হায়দার ও তাঁর পত্নী ফাতেমা হায়দার বাড়ী থেকে নিজ হাতে পছন্দের খাবার রান্না করে প্রতিবন্ধীদের খাওয়ায়ে যান। সরেজমিনে স্কুলটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়া ও হৈ-চিৎকারে মুখরিত হয়ে উঠছে ফাতেমা জগলু প্রতিবন্ধী স্কুলটি। তাদের নিয়মিত পাঠদান, শরীর চর্চা ও থেরাপি-র কাজে নাজেহাল শিক্ষকরা। প্রতিবন্ধীদের নানান রকম চেচামেচিতে মুখরিত হয়ে উঠছে স্কুলটি ও আশ-পাশ এলাকা। বর্তমানে স্কুলটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি স্থানীয় এমপি, এস,এম জগলুল হায়দার। তাঁর সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার কারন জানতে চাইলে, তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার কণ্যা যখন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে দেশের গন্ডী পেরিয়ে সারা বিশ্বে সাড়া জাগিয়েছেন তখন প্রতিবন্ধীদের কথা সাতক্ষীরা, খুলনার কেহ না ভাবলেও আমি চিন্তা করে একটি প্রতিবন্ধী স্কুল গড়ে তুলে তাদের পাশে থেকে শাররীক, মানষিক বিকাশ ঘটানোর জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি আগামীতে স্কুল,কলেজ সরকারি করণ হলে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শ্যামনগরের এই প্রতিবন্ধী স্কুলটিও সরকারী করণ করবেন, এই প্রত্যাশা আমারসহ সর্বসাধারণের।