আমজাদ হোসেন মিঠু: বিশ্বব্যাপী যখন ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে আতঙ্কে আতঙ্কিত, সেই ভয়াল করোনা ভাইরাসের জীবানু ছঙানোর অন্যতম কারণ হতে পারে হ্যাচারীর বর্জ, মরাপাঁচা কাঁকড়ার দুর্গন্ধ। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে অবস্থিত বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন। বর্তমানে ইউনিয়নটিতে স্পটসেল কাঁকঙা উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থানে আছে। স্পটসেল কাঁকড়া চাষের কারণে ইউনিয়নটি যেন শিল্প নগরীতে গড়ে উঠেছে।
কিন্তু বর্তমানে কিছু অসাধু কাঁকড়া চাষীদের যত্রতত্র মরাপঁচা কাঁকঙা ফেলার কারণে পরিবেশ ব্যাপকভাবে মারাত্মক হুমকির মুখে। পরিবেশ আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ট্রেড লাইসেন্স বিহীন স্পটসেল কাঁকড়া হ্যাচারি। কাঁকড়া হ্যাচারিগুলোর নির্দিষ্ট কোন বর্জ্য ফেলার স্থান না থাকায় রাস্তার উপরে মরাপঁচা কাঁকড়া ফেলার কারণে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ করে তুলেছে জনজীবন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সংলগ্ন বিল আইট,পোড়োকাটলা, দূর্গবাটী নামক মোড়ে অবস্থিত রোহান এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ রাজীব কান্তি জোয়াদ্দার ও উজ্জল মন্ডলের স্পষ্টসেল কাঁকড়া হ্যাচারির বর্জ, মরাপঁচা কাঁকড়ার দুর্গন্ধে দূষিত হয়েছে সমগ্র এলাকা এবং মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে স্কুল, কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ চলাচলরত পথচারীরা। বিল আইট মোড়টি তিন গ্ৰামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্ত। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত সহস্রাধিক মানুষের চলাচল তাছাড়া এটি ঘনবসতি এলাকা। বর্তমানে স্পটসেল কাঁকড়ার বর্জের কারণে অত্যন্ত দুর্গন্ধে এই সড়ক দিয়ে সকল শ্রেণীর মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কাঁকঙা হ্যাচারি মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের কোন কথায় তারা কর্ণপাত করেন না। যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। বিষয়টি জানার জন্য রোহান ইন্টার প্রাইজের প্রোঃ উজ্জল মন্ডল এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের হ্যাচারীতে বর্জ্য ফেলার কোন স্থান না থাকায় উপস্থিত রাস্তার উপরে ফেলা হয়েছিল। অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে আমরা বর্জ্যগুলো সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করব।
এ বিষয়ে বুড়েগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে কাঁকড়া হ্যাচারি গুলো হয়ে অনেক দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। তবে রাস্তার উপরে বর্জ্য ফেলার বিষয়টি আমার অজানা। যদি কেহ এ ধরনের কর্মকান্ড করে থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। কেহ যদি পরিবেশ নষ্ট করে এ ধরনের কর্মকন্ড করে থাকে তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।