প্রধান প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে কলেজ ছাত্রী মরিয়মের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার কোচড়াহাটি গ্রামের পরিমল মন্ডলের ছেলে ওয়াল্ড ভিশনের কর্মী সুব্রত মন্ডল (২৩), পাড়াকোটলা গ্রামের হাজারী লাল জোয়ারদারের ছেলে গ্রাম ডাক্তার বিকাশ জোয়ার্দার (২৮) ও সোয়ালিয়া গ্রামের ভ্যানচালক শাহীন (২৫)।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইয়াছিন আলী জানান, বল্লভপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (২১) গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয় আর ফেরেনি। এ ঘটনায় পরদিন তার বাবা শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। শুক্রবার সকালে বল্লভপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাধব চদ্র মন্ডলের ধানক্ষেত থেকে পুলিশ ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত নেমে জানতে পারে উপজেলার সোয়ালিয়া গ্রামের ভ্যান চালক শাহীন হোসেন দেড় বছর আগে মরিয়মকে উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে শাহিনকে মারপিট করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ওসি তদন্ত আরও জানান, কারাগার থেকে বের হওয়ার পর শাহীন এমন ঘটনা ঘটাতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া একসঙ্গে পড়াশুনা করার সময় পূর্বের সম্পর্কের জেরে সুব্রত মন্ডল ও তাদের আত্মীয় বিকাশ জোয়ার্দারকেও সন্দেহ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
উল্লেখ্য, মরিয়ম খাতুন শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রী কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।