নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজ ও নকিপুর সরকারি এইচসি পাইলট বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের সাতজন আহত হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরকারি এ প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজের প্রভাষক আছাদুজ্জামান, নকিপুর সরকারি এইচসি পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান, কলেজ কর্মচারী গোলাম হোসেন ও আবুল কালামকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সরকারি মহসীন কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, ৪৮ বছর ধরে কলেজের দখলে থাকা জায়গায় ভাড়াটে লোকদের নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করে। এসময় কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা দিলে বিদ্যালয় নিযুক্ত ভাড়াটে শ্রমিকরা তাদের উপর হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, শিক্ষকদের উপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাশর্^বর্তী ছাত্রাবাসগুলো থেকে বেশকিছু ছাত্র ঘটনাস্থলে পৌছুঁলে শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। এসময় শ্রমিকের ছোঁড়া ইটের আঘাতে নকিপুর সরকারি পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন।
তবে, নকিপুর সরকারি এইচসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. আব্দুল মান্নান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের নির্মিত সীমানা প্রাচীর কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীসহ ছাত্ররা গুড়িয়ে দেয়। এসময় বাধা দিতে গেলে সহকারী অধ্যাপক কিশেরী মোহন ও আছাদুজ্জামানের নেৃতত্বে ৪০-৫০ জন তার উপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের লোহার রডের আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হুদা বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নকিপুর পাইলট বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন, সদ্য জাতীয়করণ হওয়া প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষে না জড়িয়ে সহনশীলতা প্রদর্শনের দরকার ছিল।